আরিফ খান (জয়) বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে দেখা মিলছে না সূর্যের।
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনা জেলার জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন খুব একটা বাড়ির বাইরে যেতে পারছেনা। ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে জেলার ৯টি উপজেলায় ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশা বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গ্রাম্য বাজারে লোকজনের চলাচল অনেকটা কমে গেছে।
তবে গত দু’দিন থেকে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এলাকার বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ শীতে একরকম ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় বাড়িতেই গরম কাপড়ের অভাব। সরকারিভাবেও শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে যা তা নিম্ন মানের। এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগও বাড়ছে। পাবনা টার্মিনালের ড্রাইভাররা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়িতে হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান,, ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে অনেকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি।
অপ্রয়োজনো শিশু ও বয়স্কদের বাহিরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, হালকা শৈত্যপ্রবাহ সাথে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের তীব্র আগামী সপ্তাহে আরও বাড়বে। তীব্র কুয়াশাও থাকবে। কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে শীতল আবহাওয়া থাকতে পারে। এ ছাড়া শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী দুই দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন, রেলওয়ে পরিবহনে যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পড়ে,সকলকে সাবধানতার সাথে চলাচলের অনুরোধ করা হচ্ছে।