আদনানঃ পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালের নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের বিরুদ্ধে তার নিজ সহকর্মীকে হয়রানি ও রোগীদের ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায়, ডা. হারুন আর রশিদ তার সহকর্মী ডা. কামরুজ্জামান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে পাবনা সদর হাসপাতালে তদন্ত কমিটি করে নানাভাবে হয়রানি করছে। সদর হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আমিনুর রশীদ আকন্দ তদন্ত কমিটির প্রধান হয়ে চিঠি প্রদান করে হয়রানিসহ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যোগসাদৃশ হয়ে ডা. মাইদুল ইসলাম ও ডা. কামরুজ্জামান নয়নকে বহিবিভাগ থেকে জোড়পূর্বকভাবে বের করে দিয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের প্রথমদিকে পাবনা শহরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক ইঞ্জিনিয়ারের নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলে ডা. হারুন আর রশিদ। পরে বিষয়টি রোগীর পরিবারের সাথে তিন লক্ষ টাকায় রফাদফা করে। পাবনা সদর হাসপাতালের নার্স শাহানা পারভীনের ছেলে শাহরিয়ার সাদের নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রচুর রক্তপাতে জীবন শঙ্কটে ভোগে, পরে রোগীকে ঢাকায় দীর্ঘ এক মাসের চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ হয়।
এ বিষয়ে ডা. কামরুজ্জামান নয়ন জানান, ডা. হারুন আর রশীদ সদর হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে। তার ভুল চিকিৎসার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেটাকে ভুল হিসাবে উপস্থাপন করে। তার এক ভুল চিকিৎসার রোগিকে আমি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করায় আমার উপর রাগন্বিত হয়ে আমাকে পাবনা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ডা. মাইদুল ইসলাম জানান, হিংসা ও রাগের বশ্ববর্তী হয়ে ডা. হারুন আর রশীদ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে বাধাগ্রস্থ করে ও বহিবিভাগে যাতে আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে না পারি তাই সিনিয়রদের সাথে সিন্ডিকেট করে আমাদের বের করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর হাসপাতালের নার্স শাহানা পারভীন জানান, আল্লাহ আমার ছেলের জীবন রেখেছে জন্য ছেলে এখনো জীবিত আছে। হারুন আর রশিদ স্যার আমার ছেলেকে ভুল অপারেশ করলে নাক দিয়ে দ্রুত রক্তপাত হতে থাকে পরে আবার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে হারুন আর রশীদ স্যারকে জানালে তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ও থিয়েটারে আসতে অসম্মতি জানান পরে আমার ছেলেকে ঢাকাতে নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. হারুন আর রশীদ জানান, আপনি যে সকল অভিযোগ বলছেন সব মিথ্যা ও বানোয়াট। ভিত্তিহীন কোন কিছু লিখবেন না দয়া করে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সালেহ আহমেদ আলী জানান, চিকিৎসকদের আন্তঃকোন্দল নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। বিগত দিনে ভুল চিকিৎসা বিষয়ে তদন্ত কমিটি হলে হারুন আর রশীদকে এড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন এখানে ভুল করলে বাঁচানোর কোন এখতিয়ার আমাদের নেই। কারণ আমাদের নার্সের সন্তানকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছে এটা এড়ানোর কিছু আমি দেখি না।