পাবনায় চলন বিল ও গাজনার বিল অঞ্চলে অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে চায়না দুয়া জাল
পাবনা জেলা প্রতিনিধি: আরিফ খান জয়
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মৎস শিকারের জন্য নতুন এক ধরণের জালের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে, যা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের মত মিহি ও হালকা, এবং এই জাল একবারে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে মাছ ধরতে সক্ষম।
জেলেদের অনেকে এই জাল ব্যবহার করে খুশী। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন যে এ জাল মাছসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য কারেন্ট জালের চাইতেও ক্ষতিকর।
নতুন এই জালের পরিচিতি চায়না দুয়ারী নামে।
শুরুর দিকে মূলত পদ্মা নদীর তীর ধরে এই জালের ব্যবহার হলেও এখন সারা দেশেই, বিশেষত বড় নদীর ধারে, বিল অঞ্চলে চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করা হচ্ছে
ফলে এই এলাকার জেলেদের কাছে কদর বেড়েছে চায়না দুয়ারী জালের। জেলেরা এখন ঝুঁকছেন চায়না দুয়ারী জালের দিকে। উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন, ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও সুজানগর সাথিয়া ও বেড়া অঞ্চলের বিল ও নদীগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার চায়না দুয়ারী জাল পেতে মা ও পোনা মাছ নিধন করছেন অসাধু মৎস্যজীবীরা। ফলে ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ।
এই জালের ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মাছের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হবে। সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের পাগলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বাদশা দীর্ঘদিন ধরে চায়না দুয়ারী জাল তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন। তারা এতটা প্রভাবশালী যে কাউকেই পরোয়া করেন না প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করা হয়
এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছু দিন যাবৎ এই বাড়িতে তৈরি হচ্ছে চায়না দুয়ারী জাল। বাইরের কাউকে এই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নারী-পুরুষ কারিগররা আসা-যাওয়া করেন।
এই বাড়িতে কী হচ্ছে তা এলাকার কেউ কেউ জানলেও অনেকেই জানেন না।
কারখানার কর্মচারীরা জানান, অনেক দিন যাবৎ এখানে চায়না দুয়ারী জাল তৈরি করছি । সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে কারিগররা আসেন জাল তৈরি করতে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন এই সকল স্থানে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অভিযান পরিচালনা করবে,