পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস টোল কিভাবে দেয়া যাবে সে বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন
মোঃ মিন্টু শেখ
বিভিন্ন নিউজ সূত্র থেকে জানা যায় এটি একটি আধুনিক রোবোটিক টেকনোলজি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে এটি খুব পপুলার হয়েছে ইতোমধ্যে। পদ্মা সেতুর টোল আদায় কাজে নিয়োজিত কোরিয়ান কোম্পানি এটি গতকাল থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে টোল আদায় শুরু করেছে।
এ প্রক্রিয়াটিকে খুব সহজে বোঝানোর জন্য আমি মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাপ সিস্টেমকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করবো। ধরা যাক আপনি বিকাশ বা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং-এ লেনদেন করতে যেটা করেন সেটা হলো আগে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করেন। এরপর সেই এ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে রাখেন। এরপর কোন দোকান থেকে পণ্য কিনে কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজে পেমেন্ট করতে পারেন। তবে পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত টেকনোলজি এরচেয়েও আপডেট। এজন্য আপনার রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ির নম্বরের বিপরীতে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন বা ক্রিয়েট করতে হবে। সেটি এখন টোল প্লাজার কাছেই বুথ থেকে করতে পারবেন। খুব দ্রুত এটি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। আপনার রেজিস্ট্রেশনকৃত এ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন বুথ থেকে। সেটি হয়তো দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাপ বা ব্যাংক একাউন্ট থেকে লোড করার সুবিধা চালু হবে। রেজিস্ট্রেশন এর পর একটি ডিভাইস সম্বলিত কার্ড প্রদান করবেন কর্তৃপক্ষ। সেই ডিভাইস সম্বলিত কার্ডটি রাখতে হবে গাড়ির সামনে ড্যাসবোর্ডের উপর। আপনার রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ি টোল প্লাজার ৫০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করলেই রোবোটিক ক্যামেরা আপনার গাড়ির ড্যাসবোর্ড থেকে অটো ডিটেক্ট করবে এবং নির্ধারিত টোল নিয়ে নিবে একাউন্ট থেকে। আপনার মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ চলে আসবে কত টাকা টোল নিয়েছে এবং সামনে থাকা ডিসপ্লে বোর্ডে আপনার গাড়ির নম্বর সহ টোলের পরিমাণ দেখাবে। একইসাথে টোল ব্যারিয়ার উঠে যাবে। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। যে কারণে আপনার গাড়ি কোন বাঁধা ছাড়াই দ্রুত টোল প্লাজা অতিক্রম করে পার হবে পদ্মা সেতু।
তবে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এটি আপাতত হবেনা। এছাড়াও টাচ এন্ড গো এবং নগদ টাকা দিয়েও টোল দেয়ার জন্য আলাদা বুথ থাকবে।