পটুয়াখালী কুয়াকাটার হোটেল-হচ্ছে এখন আশ্রয়কেন্দ্র
মোঃ কবির গাজী, রিপোর্টার পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এমএ মোতালেব শরীফ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কমবেশি প্রতি বছরই উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় এসময় বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। ঘূর্ণিঝড় মোখায়ও সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিশেষ করে রাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে সবাই হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেবে।
আবহাওয়া অফিস পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে দিকে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ১৪ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুব বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে। এর প্রভাবে কলাপাড়াসহ উপকূলীয় এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওইসব এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটার আশপাশে যে হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে কুয়াকাটায় যে পর্যটক রয়েছে তাদের কোনোভাবেই সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।