মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, তথা বিজয়ী ছাত্র জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর চাপানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী একটি দেশের কিছু কিছু নিউজ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে একটি চিহ্নিত মহল।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করা হয়েছে বিশেষভাবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সব শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তারা মরিয়া হয়ে লেগেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সব নাগরিক এ বিষয়ে সজাগ আছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এরই মধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ নিয়েছে। দলের নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরাতায় জড়িয়ে পড়বে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সব সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে আহ্বান করতে চাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সব নাগরিককে। আহ্বান রাখছি এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’