সফিকুল ইসলাম হিরু ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বৈদারাপুর,গ্রামের মোঃ শাহজাহান খলিফার মেয়ে মোছাম্মৎ রেশমা আক্তারের সাথে ২০২১ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।
নলছিটি উপজেলার রায়পাশা গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম হাওলাদার এর পুত্র মোঃ রিয়াজ হাওলাদারের সঙ্গে দম্পতি জীবন তিন বছর পূর্ণ হওয়াতে ওই সংসারে ৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে অদ্য ইং-২১/১২/২০২৩খ্রিঃ অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় মেয়ের জামাই মোঃ রিয়াজ হাওলাদার শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের কাছে মুঠোফোনে জানায় আপনাদের মেয়ে রেশমা আক্তার মাথা ঘুরাইয়া পড়িয়া গিয়াছে। বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আছে। আপনারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আসেন।
এই সংবাদ পাইয়া রেশমা আক্তারের,মা ও বাবা দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পৌছিলে মেয়ে রেশমা আক্তারকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের লাশ ঘরে দেখতে পায়।
মেয়ের মৃত্যুর বিষয় জামাই রিয়াজ হাওলাদার কে জিজ্ঞাসা করলে রেশমার লাশ মেডিকেলের মর্গে ফেলে রেখে জামাই রিয়াজসহ সকল স্বজনরা পালিয়ে যায়।
মৃত গৃহবধূ রেশমা আক্তারের বাবা-মা ও স্বজনদের দাবি যৌতুকের কারণে মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির স্বজনরা, মৃত রেশমা আক্তারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত যখন রয়েছে রেশমা, বাবা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে মেয়ে রেশমা আক্তার কে,মানসিক ও শারীরিক নিতন করে আসছে জামাই রিয়াজ সহ শ্বশুরবাড়ি সজনরা।
মৃত রেশমার,লাশ গোসল করানোর সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফুলা রক্তাক্ত যখন দেখতে পাওয়া যায় এবং ডান হাত গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়, রেশমা আক্তারের, স্বজনদের দাবি যৌতুকের কারণে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে গৃহবধূ রেশমাকে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন নিশংস হত্যাকারীদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
অভিযুক্তরা হলেন (১) মোঃ রিয়াজ হাওলাদার, (২) মোঃ সুমন হাওলাদার, (৩) মোঃ মিলন হালদার, (৪) মোঃ মিরাজ হাওলাদার,উভয় পিতা মৃত আব্দুস সালাম হাওলাদার, (৫) মোসা: মাকসুদা বেগম, (৬)আলেয়া বেগম,(৭) মুন্নি বেগম, (৮) ময়না বেগম, সর্বসাং রায়পাশা, থানা নলছিটি, জিলা ঝালকাঠি।
উল্লেখিত বিষয় নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ আলী, সাংবাদিকদের মুঠোবনে জানিয়েছেন গৃহবধূ হত্যার বিষয় তিনি অবগত আছেন ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত জামাই মোঃ রিয়াজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়ন রিয়াজের মা ও ভাই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গৃহবধূ রেশমা আক্তার গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ওই এলাকার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা নাম পরিচয় জানাতে অনীহা প্রকাশ করে, সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গৃহবধূ রেশমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে প্রশাসন ঘটনাস্থল তদন্ত করলে তাহার প্রমাণ মিলবে।