তিন স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধার করলো জীবননগর থানা পুলিশ
তানজিল আহমেদ রনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
দরখাস্তকারী মোঃ বকুল হোসেন (৩৭), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং-কাশিপুর, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গা সঙ্গীয় শহিদুল ইসলাম এবং মোঃ মাহাতাব মোল্লা থানায় এসে লিখিতভাবে জানান যে, তাদের তিন জনের স্কুল পড়ুয়া কন্যা ১। জামিলা খাতুন(১৩), ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী, ২। মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন(১২), ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এবং ৩। মোছাঃ মরিয়ম খাতুন(১২), ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, গত ইং-০৩/০৫/২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়। বিদ্যালয়ের ছুটির সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা বাড়ীতে না ফেরায় বাড়ীর লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোজাখুজি করে না পাওয়ায় ০৩ (তিন) জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর একসাথে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্তে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ সহ গনমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে থানায় এসে লিখিতভাবে জানালে জীবননগর থানায় সাধারণ ডাইরী নং-১৪৬, তারিখ-০৩/০৫/২৩ লিপিবদ্ধ করা হয়।
বর্নিত ঘটনায় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা এবং সহকারী পুলিশ সুপার, দামুড়হুদা সার্কেলকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার দিকনির্দেশনায় এবং সহকারী পুলিশ সুপার, দামুড়হুদা সার্কেলের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অফিসার ইনচার্জ, জীবননগর থানা সঙ্গীয় অফিসার এসআই(নিঃ) এসএম রায়হান, এসআই(নিঃ) মোঃ নাহিরুল ইসলাম এবং অন্যান্য অফিসার ফোর্সদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত স্কুল পড়ুয়া তিনজন ছাত্রীকে ইং-০৪/০৫/২৩ তারিখ অনুমান ০৪.০০ ঘটিকায় (০৩/০৫/২৩ তারিখ দিবাগত রাত) চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন ঝাঝরী, বেগমপুর গ্রামস্থ মোঃ মোহন মিয়া, পিতা-মোঃ বাবুল মিয়ার বসত বাড়ী হতে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত ১। মোঃ শিহাব(১৮), পিতা-আব্দুল মুমিন, ২। মোঃ নাঈম(১৯), পিতা-আব্দুস সালাম, উভয় সাং-মনোহরপুর মাঝেরপাড়া, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গাদ্বয়সহ সহযোগী ৩। মোঃ লিখন হোসেন(১৬), পিতা-মোঃ কালাম হোসেন, ৪। ইয়াসিন হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ ভাসান আলী, উভয় সাং-ঝাঝরি, বেগমপুর, থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাদের আটক করা হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিকল্পনায় উক্ত ভিকটিম ০৩ (তিন) জনকে ফুসলিয়ে কৌশলে অপরহন করে ইং-০৪/০৫/২৩ তারিখ সকালে তারা ঢাকায় নিয়ে অজানা-অচেনা জায়গায় গোপনে অবস্থান করবে যাতে আত্মীয়স্বজন কিংবা পুলিশ তাদের কোন সন্ধান না পায়। এদের মধ্যে স্থানীয় সাক্ষ্য প্রমাণে সাকিব একজন লম্পট, চরিত্রহীন প্রকৃতির এবং সে ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করে। আটকদের অসৎ ও অনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের পূর্বেই জীবননগর থানা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কৌশলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।