1. holyjannattv@gmail.com : rajib :
  2. admin@amarsangbadpratidin.com : admin :
  3. writers@amarsangbadpratidin.com : Writers :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

ঢাবি শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগ বাস চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ২০ Time View

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের শিক্ষক আদিব শাহরিয়ার জামানের ওপর হামলা এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে মিরপুর সুপার লিংক কোম্পানির একটি বাসের চালক এবং সহকারীর বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে আদিব শাহরিয়ার জামান।এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ওই কোম্পানির ১১ টি বাস আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে আদিব শাহরিয়ার জামান উল্লেখ করেন, আজকে আমাকে মিরপুর সুপার লিংক (৩৬ নম্বর) বাসের ড্রাইভার এবং হেল্পার মিলে শত মানুষের সামনে মেরেছে। আমি আজকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের অ্যাডমিশন এক্সাম ডিউটি শেষ করে মেট্রো না থাকায় লোকাল বাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। দীর্ঘদিন লোকাল বাসে ওঠার অভ্যেস নেই। যাই হোক, ৩৬ নাম্বার বাসে উঠি নিউমার্কেট থেকে। বাসটি মিরপুর ১০এ এসে সিগনালে পরে। দীর্ঘ মিনিট বিশেক সিগনালে দাঁড়ানোর পর সিগনাল ছাড়লে বাসটি আরেকবার ইচ্ছাকৃতভাবে আটকাতে নেয়।তিনি আরও বলেন, বাসের অর্ধেকের মত যাত্রীই ছিল ভর্তি পরীক্ষার্থী। তারা অনুনয় করতে থাকে সিগনাল পার হবার জন্য। কিন্তু এরপরেও বাসটি কেবল বায়েই ঘেঁষতে থাকে। আমি তখন ধমক দেই। ধমকের উত্তরে ড্রাইভার আর হেল্পার তর্ক করতে শুরু করে এবং বায়ে একদম ফুল হোল্ড করে দাঁড়িয়ে যায়। আমি তখন হুশ হারিয়ে গালি দেই। এটা আমার ভুল ছিল। কিন্তু সঙ্গে এও যোগ করতে চাই যে, আমার কোনো তাড়া ছিল না। আমি কেবলই পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ চিন্তা করে কাজটা করি।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই শিক্ষক বলেন, ড্রাইভার আমাকে হুমকি দেয় যে আমার স্টপেজে (১১ নাম্বার) আমাকে নামতে দেবে না। একবার লাস্ট স্টপেজে নিয়ে তারা আমাকে পিটাবে। এরজন্য এমনকি তারা অন্য যাত্রীকেও জায়গা মত নামতে দিচ্ছিল না। এতে আমি আবারও রাগারাগি করি এবং ১১ নাম্বারের কাছে বাস থামাতে বাধ্য করি। তখন ড্রাইভার আর হেল্পারও আমার সাথে নামে। ড্রাইভার একটা বাঁশ জোগাড় করে। সেটা দিয়ে সে আমার মাথায় বাড়ি দেয়। সম্ভবত বেশি জোরে বাড়ি দেয় নাই, কারন ব্যথা করছে না। অথবা কাল সকালে টের পাব। এছাড়াও ড্রাইভার আমার পেটে লাথি দেয়, গেঞ্জি ধরে টেনে ছিড়ে ফেলে। এই সময়ে রাস্তা ভর্তি লোক আমাদেরকে ঘিরে থাকে এবং দেখতে থাকে। যেই পরীক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যান্ড করেছিলাম, তারাও বাসে বসে জানালা দিয়ে পুরা ঘটনা দেখে। এরপর তাড়াতাড়ি করে বাসে উঠে ড্রাইভার আর হেল্পার বাস টান দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Amarsangbadpratidin.com
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)