পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু সচেতনতায় কাজ করছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ।
রিপোটঃ শ্রী সুকদেব লাল, শুভঃ
পটুয়াখালী, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩: “ডেঙ্গু” বর্তমানে পটুয়াখালী জেলায় ভয়াবহ একটি মারন রোগে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগটি এখন মানুষের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। এই কারনে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখা একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে এগিয়ে এসেছে, যার নাম “সচেতনতায় ডেঙ্গু রোধ”। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার মানুষদের ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এই মশাবাহীত রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিকেল ৪টা থেকে ৬ঃ৩০ পর্যন্ত চলমান কার্যক্রমটি পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হয়। এর পর সবুজবাগের বিভিন্ন লেনে প্রচারণা চালিয়ে ঝাউতলায় এসে পৌঁছে। এই প্রকল্পে ভলান্টিয়ারগণ বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে এবং মশা জন্মানোর জায়গাগুলো পরিষ্কার করে।
ডেঙ্গু সচেতনতায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ – পটুয়াখালী জেলার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সুর বলেন, “ডেঙ্গুর সম্পর্কে সচেতন হওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবো এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে মানুষকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানবো। নিজের বসতবাড়ি ও আশেপাশের অপরিষ্কার জায়গা পরিষ্কার করা সকলের নিজ নিজ দায়িত্ব হওয়া উচিত। ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ মোঃ শাকিল হাওলাদার বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা নিজেরাই সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়বো। ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ প্রকল্প কর্মকর্তা জুরাইরিয়া জীম বলেন, “আসুন সবাই সচেতন হই এবং ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গুর প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করে আমরা মুক্তি পাবো। এই কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করার জন্য সকলের সমর্থন প্রয়োজন।আমরা সকলে সচেতন হলেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই প্রস্তুত হতে পারবো। এসব সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমরা শক্তিশালী পদক্ষেপ নিত পারবো। আসুন সবাই সচেতন হই এবং ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই ।”
এই প্রচেষ্টায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা সম্প্রসারণ নিশ্চিত হবে এবং এই ভয়াবহ মারন রোগ ডেঙ্গু থেকে মানুষের জীবন মুক্তি পাবে।