ঝালকাঠির নলছিটির প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলো মামাতো ভাই: সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার
সফিকুল ইসলাম হিরু ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির নলছিটিতে ফসলের মাঠে পড়ে সেই মানুষিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিলো। আপন মামাতো ভাই ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত করে ওই তরুনীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার। জেলার নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ফসলের ক্ষেতে স্মৃতি আক্তার নামে এক তরুণীর উলঙ্গ মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের নেতৃত্বে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ধর্ষণ ও হত্যায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে মামাতো ভাই মো: বাপ্পি সরদার ওরফে তুষার সরদার বাপ্পিকে চায়না মাঠ থেকে গ্রেফকার করে পুলিশ। রোববার দুপুরে এ নিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। সাংবাদিকদের কাছে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, গ্রেফতার বাপ্পি তার ফুপাতো বোন স্মৃতিকে ধর্ষণের পর হত্যায় দায় স্বীকার করেছে। বাপ্পির বরাদ দিয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বাপ্পি ও নিহত স্মৃতির মধ্যে প্রেম ও শারিরীক সম্পর্ক চলছিলো। গত ২৫ এপ্রিল রাতে বাপ্পির ডাকে স্মৃতি বাড়ির পাশের জঙ্গলে যায়। সেখানে স্মৃতিকে ধর্ষণ করে মামাতো ভাই বাপ্পি।এসময় স্মৃতি বাপ্পিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাপ্পি মাটির চাকা দিয়ে মাথায় ও পেটে এবং বুকে আঘাত করে স্মৃতিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় গ্রেফতার বাপ্পিকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মইনুল হক (পিপিএম সেবা) প্রশাসন ও অর্থ ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শংকর কুমার দাস (ক্রাইম এন্ড অপস), ডিআইও-১ ওবায়দুল হক চৌধুরী, নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু.আতাউর রহমান।সংবাদ সম্মেলন শেষে অপরাধীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মইনুল হক (পিপিএম সেবা) এর নেতৃত্বে একটি চৌকস পুলিশ টিম আসামীকে আটক করতে সক্ষম হন।