সফিকুল ইসলাম হিরু ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির গাভারাম চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতের চলমান বিচার উপেক্ষা করে নিরীহ একটি পরিবারের জমি দখল করতে প্রতিপক্ষরা কয়েক লাখ টাকার ফলজ ও মূল্যবান গাছ কেঁটে সাবার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের বালিগোনা গ্রামে প্রকাশ্য দিনের বেলা প্রতিপক্ষ গ্রুপটি প্রায় কয়েক’শ গাছ কেটে ফেললেও প্রানের ভয়ে কেউ বাধা দিতে সাহস পায়নি বলে অভিযোগে জানাগেছে। এঘটনায় গ্রাম্য আদালতে সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাছুম শেরওয়ানী জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেছে। এঘটনায় আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার ভূক্তভুগী পরিবার বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬জনের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বালিগোনা গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদার ও তার মৃত্যুর পর পুত্র মোঃ মিরাজ হাওলাদার প্রায় ৪০বছর ধরে উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি উক্ত সম্পত্তির সত্ব দাবী করে প্রতিবেশী মৃত কাচেম আলী হাওলাদারের পুত্র মোঃ মৃসৃর হাওলাদার, আফসের আলী হাওলাদারের পুত্র রিায়াজ হাওলাদার ও আঃ ছোবাহানের পুত্র মোঃ রেজাউল হক জবর দখলের চেষ্টা চালায়। নিরুপায় হয়ে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০২৩তারিখ মিরাজ হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে (নং-৪৮/২৩) অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত নোটিশ করার পর উভয় পক্ষ উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ শালীশ মনোনীত করে কিন্তু দুই দফা নোটিশের পর আদালতে উপস্থিত হলেও দুষ্ট প্রকৃতির বিবাদীরা অন্যায় ভাবে বাদীর ফলজ বাগানের সমস্ত গাছ কেটে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জলিল ডাকুয়া, ওয়ার্ড আ’লীগ সাঃসম্পাদক নুর আলম ও প্রতিবেশী মালেক হাওলাদার (৯০) জানান, বিরোধী এ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক ইউসুফ আলী হাওলাদারের মৃত্যুর পর মিরাজ হাওলাদার ফবলজ বাগান নির্মান করে ভোগ দখল করছিল। গত ১২নভেম্বর ফজরের নামাজের পরে রেজাউল হক মাষ্টার, রিয়াজ হাওলাদার ও তার ভাই ফরিদ, ওবায়দুল হক মালিক, হিরু হাওলাদার ও মোসলেমসহ ৬/৭জন দলবদ্ধ হয়ে দিন দুপুরে সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে উক্ত জমি দখলের উদ্দেশ্যে সম্পূর্ন গাছ কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এধরনের অন্যায় কাজের কঠোর বিচার হওয়া উচিত যাতে আর কেউ এধরনের দখলদারী করতে আসার আগে দশবার ভাবে। এ ব্যাপারে গ্রাম্য আদালতে সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাছুম শেরওয়ানী বলেন, আদালতে বিচার চলমান অবস্থায় বিবাদীদের এহেন কর্মকান্ড চরম অন্যায় ও আদালত অবমাননার সামিল। ইতিমধ্যে গ্রাম্য আদালতের পক্ষ থেকে এবিষয় প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।