এস এম আলমগীর চাঁদ ( পাবনা প্রতিনিধি )
“পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই”এই মহান স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে…
সবার_জন্য_পড়া_উন্মক্ত_পাঠাগার।
পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ধুলাউড়ি গ্রামে ২০২১ সালে ০১ পহেলা জানুযারি প্রতিষ্ঠিত হয় এই পাঠাগার !! বর্তমানে পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় ও হাইস্কুল ও কলেজ পড়ুয়া এক ঝাক তরুন-তরুনী শিক্ষার্থীর তত্বাবধানে !তাদের সহযোগীতায় সদস্য হওয়া, বই নেওয়া, বই ফেরত দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম তারা পাঠাগারের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধি করে রাখেন !!
পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের, ধুলাউড়ি গ্রামেল সুবাহান খানের ছেলে মোঃ শাহাদত হোসেন এই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা !! তিনি ধুলাউড়ি আলিয়া মাদ্রসা থেকে আষ্টম শ্রেণী পাশ করার পড় ঢাকা সাভার জিরানী বাজার বাংলাদেশ ক্রিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) তে জব শুরু করেন ও নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের বই কিনে পড়তে শুরু করেন !! এবং দেশে করোনা মহামারী শুরুর দিকে বাড়িতে চলে আসেন ও তখন দেখলেন বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক, ইমু, টিকটক, লাইকি, ভিডিও গেইমসহও বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে ব্যস্ত থাকছে প্রযুক্তিকে যেমন বাদ দেওয়া যাবে না ! তেমনি বই পড়াকে ত্যাগ করা যাবে না ! কারণ বই আপনার অজ্ঞাতার প্রাচীর ডিঙিয়ে জ্ঞানের আলোয় আপনাকে করবে আলোকিত মানুষ ।
২০২১ সালে নিজ বাড়িতে নিজ টিনের চার’চালা ঘরের একটি রুমে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন ।
শুরুন দিকে নিজের কাছে থাকা সাত-আট শত বইয়ের মধ্যে পাঁচ শত বই নিয়ে পাঠাগার’টি চালু করেন ও দিরে দিরে সকল বই একত্তি করে নয় শত বই হয় ও কিছু বই উপহার পেয়ে বতমানে পাঠাগারের সংগ্রহে রয়েছে এগারো শত বইয়ের উপরে..পাঠাগার’টিতে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ বই পড়ার জন্য উন্মক্ত রয়েছে ।তারা পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন ও কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে এসে বসেও বই পড়তে পারেন, আবার চাইলে বই রেজিস্টারে এন্ডি করে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন ।
পাঠাগার’টির সদস্য তেজগাঁও কলেজের ছাত্র সুমন বলেনঃ- আমাদের গ্রামের মানুষের জন্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসে-পাশে কোন পাঠাগার না থাকায় বই পড়তে হলে আমাদের ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সরকারি গ্রন্থগারে যেতে হতো.. যা আমাদের জন্য অনেক কষ্ঠসাধ্যও দুরুহ ছিল । কিন্ত এই { সবার জন্য পড়া উন্মক্ত পাঠাগার } থাকায় আমরা যখন খুঁশি তখন যে কোন ধরণের বই পড়ে আনান্দিত হয় ও জ্ঞান আরোহণ করি !!
পাঠাগার’টির সহযোগীতায় থাকা Alif BoilerCompany এর এমডি জি এম ইলিয়াস হাসান বলেনঃ-পাঠাগার’টি ধুলাউড়ি ইউনিয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে পাঠ্যভ্যাস তৈরীতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে !!
পাঠ্য বইয়ের পাশা-পাশি বিভিন্ন ধরনের বই পড়েন শিক্ষার্থীরা !!
পাঠাগারটিতে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে, যা তাদের ভবিষ্যতে আলোকিত মানুষ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি । তাই পাঠাগা’টির উন্নয়নে সমাজের শিক্ষানুরাগী ও বিত্তবানদের সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান ।