শিশির ইসলাম,পাবনা প্রতিনিধি
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এটা কেবল জাতীয় সঙ্গীত নয় মুক্তিকামী বাঙ্গালী তথা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে , এই সঙ্গীতের মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক, জনতা, ছাত্র সহ আপামর কোটি বাঙ্গালী স্বাধীকার আন্দোলন এর লড়াইয় এক হতে পেরেছিলো এবং যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রু মোকাবেলায় ঝাপিয়ে পড়েছিলো। প্রতি মুহুর্তে শুধু এই উপলব্ধি থেকে তারা দেশকে স্বাধীন করার লক্ষে পশ্চিম পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরুদ্ধে শক্তি সঞ্চার করেছিলো
জাতীয় সঙ্গীত আমাদের প্রাণের স্পন্দন আজ এত বছর পর একটি কুচক্রী মহল এই সঙ্গীত কে বিতর্কিত করার লক্ষে পরিবর্তন করতে চায়, বাংলাদেশের এই জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন এর প্রতিবাদে পাবনায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখা, শুক্রবার সকাল দশটায় পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন সংগঠন এর সভাপতি কাজী মারুফার সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পাবনার সভাপতি আবুল কাসেম, সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর চৌধুরী, গণশিল্পী সংস্কার সদস্য বিপ্লব ভৌমিক, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি সালফি আল ফাত্তাহ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী পাবনা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদক দিবাকর চক্রবর্তী, সদস্য জুলি সাহা, মির্জা রানা, ফারহানা রহমান, জিবন রহমান, পাঠশালা'র সাধারণ সম্পাদক শিশির ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম শিহাব উদ্দিন, সদস্য কবির হোসেন, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য প্রভা সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। প্রতিবাদী সভায় বক্তারা বলেন জাতীয় সঙ্গীত কোন দল বা জাতী গোষ্ঠীর নয় এটা জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙ্গালী প্রাণ, তাই আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই কোন অপশক্তি যেন এটা পরিবর্তন এর ধৃষ্টতা না দেখায়, আর যদি কেউ এটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন প্রয়োজনে আমরা সকল শ্রেণী পেশার মানুষ কে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামবো এবং আমাদের আন্দোলন কে কঠোর আন্দোলন এ রুপ নিব, তাই আসুন আমাদের দেশ মাতৃকা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সন্মান বোধ রেখে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত এর মর্যাদা ভাবগাম্ভীর্যের সাথে নিজেদের অস্তিত্ব বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতে ঐক্যবদ্ধ হই, বক্তব্য শেষ এ সবাই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদী কর্মসূচি শেষ করেন।