নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার সাদুল্লাপু্র ইউনিয়নে মোছাঃ মাসুরা খাতুন (৬৬) নামের
একজন বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
(৩১) মার্চ শুক্রবার দুপুরে দুবলিয়ার ফারাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী বৃদ্ধা মাসুরা খাতুন ফারাদপুর গ্রামের বাদশা প্রামানিকের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ আরশেদ আলী মোল্লা, মোঃ আজমল খাঁ, মোঃ আলতাফ খাঁ, মোঃ কালু খাঁ নজরুল খাঁ,
তোফাজল খাঁসহ অর্ধশতাধিক ক্যাডার বাহিনী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদশা প্রামানিকের বাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাদশা প্রামানিকের স্ত্রী মাসুরা খাতুনকে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়।
ঘটনার সময় বাদশা প্রামানিকের বাড়ির পাশে জমির আইলঘেরা জোড়পূর্বক ভাঙতে শুরু করে।
এসময় নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধার উপর অতর্কিত হামলা করে । প্রথমে কিল ঘুষি লাথি মারতে শুরু করে।
এরপর অভিযুক্তরা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে।
প্রধান অভিযুক্ত আরশেদ আলী মোল্লা দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। যার ফলে ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখন হয়ে যায় ।
এমন তাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী বাদশা প্রামানিক বলেন, গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ তারিখে আমার পরিবারের উপর হামলা করার পর, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কোর্টে মামলা দায়ের করে।
পুনরায় এক মাস পর একই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এলাকার কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
শুধু তাই নয় বিগত ১০-১১ বছর ধরে আমাদের পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবাদ করলেই হত্যাসহ নানা হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এদের অত্যাচারে এলাকবাসিও অতিষ্ট হয়ে গেছে । ভয়ে এলাকাবাসিও মুখ খুলতে চায় না।
এই ঘটনা বিচারের জন্য থানায় দারস্থ হলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। থানার বারান্দায় গেলে বেশি বিপদ আছে বলেও হুমকি দিচ্ছে।
বাদশা প্রামানিকের ছেলে নাজমুল হোসেন লিটন বলেন, আরশেদ আলী মোল্লা আজমল হোসেনকে
দিয়ে আমার শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
তারা বলে বাদশার ছেলে পুলিশের চাকরি করবে এটা মেনে নেওয়া যায়?। সব মিলিয়ে আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে বসবাস করে আসছি।
আরশেদ মোল্লার মাদক বিক্রিসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই হত্যাসহ দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী মাসুরা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার জমির ঘেরা ভাঙতে আসলে শুধু নিষেধ করেছি।
তাই আমাকে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে আরশেদ। এর আগে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করেছে।
বাড়ির মহিলাদের উপর হামলা করে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়েছে। এখনো আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
বাদশা প্রামানিকের ছেলে মো: নাজমুল হোসেন লিটন বলেন, আরশেদ আলী মোল্লা আজমল হোসেনকে দিয়ে আমার শিক্ষাজীবন
নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা বলে বাদশার ছেলে পুলিশের চাকরি করবে এটা মেনে নেওয়া যায়?
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আরশেদ আলী মোল্লা ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।