চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানকে গ্রেপ্তারে বাধা নেই: পিপি
মোমিন ইসলাম,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
উচ্চ আদালত থেকে পাওয়া অন্তর্বর্তী জামিনের নির্ধারিত সময়ের (বুধবার) মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুবলীগের সাবেক নেতা খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান। এখন তাঁকে গ্রেপ্তারে আর কোনো বাধা নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি নাজমুল আজম।
এ বিষয়ে পিপি নাজমুল আজম বলেন, ৩ মে উচ্চ আদালত খাইরুল আলম হত্যা মামলার ৩৪ জন আসামিকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়ে জেলা দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেন। বুধবার ছিল আত্মসমর্পণের শেষ দিন। মঙ্গলবার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হকসহ ৩২ জন এ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনকে জামিন, সামিউল হকসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, মামলায় হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে মোখলেসুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়।
যুবলীগের সাবেক নেতা খাইরুল আলমের ছোট ভাই মাহবুব-উল-আলম মেয়র মোখলেসুর রহমানকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মোখলেসুর রহমানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ গড়িমসি করলে এর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মোখলেসুর রহমানকে গ্রেপ্তারে আর কোনো বাধা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, পুলিশ তাঁকে (মোখলেসুর রহমান) গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুধবার রাতে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে তাঁর আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মোখলেসুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ লোক আমাকে জানিয়েছে, তিনি (মোখলেসুর রহমান) দারুণভাবে অসুস্থ। আদালতে আত্মসমর্পণ করার মতো শারীরিক অবস্থা না থাকার কারণ তিনি আদালতে আসতে পারেননি।
গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় ইফতারি কেনার সময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন খাইরুল আলম জেম। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হকসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ দুই দফায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে ওই হত্যা মামলার পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।