চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালিনগরে মুনি হত্যার প্রধান বাবু গ্রেফতার বাকিরা পলাতক।
মোমিনুল ইসলাম মোমিন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ৩ দিন আগে কালিনগর ইংলিশ মোড় পাড় হয়ে গিয়ে বাবলাবোনার দিকের ফাঁকা রাস্তায় পথ অবরোধ করে বাবলাবোনার মুনি কে কুপিয়ে পালিয়ে যায় ছবির এই ব্যক্তি বাবু সহ তার সহপাঠীরা। আর সেইদিন রাতেই মুনি কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রক্তশুন্য হয়ে রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেন মুনি। কিন্তু মুনি কে যখন এম্বুলেন্সে করে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন মুনি তাদের সামনে এক জবানবন্দি দিয়ে যান সেখানে মুনি সবাই কে বলেন, আমাকে কুপিয়েছে বাবু ঝাবরা ও তার সাথে থাকা কয়েকজন ছেলে। আমি বাবু কে চিনতে পেরেছি বাকি গুলার মুখ ঢাকা ছিল তাই চিনতে পারিনি।
এমন আরও কিছু কথাবার্তা মুনি মৃত্যুর আগে এম্বুলেন্সে থাকা সবাই কে বলে যান।৷ আর সেই কথার উপর ভিত্তি করে পুলিশ, র্যাব,ডিবি ও বিজিবি সহ সকলে এক সাথে কাজ করতে মাঠে নামেন। তাদের একটাই গতি ছিল, যাহা কিছুর বিনিময়ে হোক বাবু কে তারা ইন্ডিয়া পালিয়ে যেতে দিবে না। আর তাই হল। গত রাতে বাবু বগলাউরি ঘাটের কিছুদূর যাওয়ার পড়ে এক বিজিবি চেকপোস্টে গ্রেফতার হয়।।
বাবু যখন বিজিবির সামনে দিয়ে যায় তখন অটোমেটিক বাবু কাঁপতে থাকে তখন বাবুর কাঁপা দেখে বিজিবি সদস্যদের সন্দেহ হয়, তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, আর বলে তুমি এই ভাবে কাঁপছ কেন ? কি হয়েছে তোমার, সব কিছু খুলে বলো। তখন বাবু বিজিবি সদস্যদের বলে আমি আমার এলাকা থেকে একজন কে খুন করে পালিয়ে ইন্ডিয়া যাচ্ছিলাম।
এর পরে বিজিবি সদস্যরা সব কিছু জানার পরে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করেছে। বর্তমানে বাবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।। বাবু এরেস্ট হবার পরে বেশ কয়েকজনের নাম করেছে যারা বর্তমানে এলাকা ছাড়া। যাদের কেউ এলাকাতে নেই।
এ বিষয়ে প্রশাসন বলছে যারা যারা সেদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরে ও বাবু ধরা পড়ার পরে এলাকা থেকে গা ঢাঁকা দিয়েছে তাদের সবাই ধরা পড়বে, আজ অথবা কাল কিন্তু ধরা তাদের পড়তেই হবে। এই খুনের সাথে জড়িত সকল কে আমরা গ্ৰেফতার করে আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করব, এমন টা বক্তব্য প্রশাসনের।