চাঁদাবাজদের হামলায় মৃত্যুর মুখে আওয়ামীলীগ নেতা ও তার ছেলে:_মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে,
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম //
বাগেরহাট জেলার রামপালে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় পিতা ও পূত্রকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা৷গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী আবু সাঈদ শেখ ও তার ছেলে নাজমুল হাসান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এরমধ্যে ভুক্তভোগী নাজমুল হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় কোপ দেয়া হয়েছে এবং ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে হাত পা৷ এ ঘটনায় অনুসন্ধানে নেমে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে – ভুক্ত ভোগীদের বর্ননামতে জানা গেছে- রামপাল থানাধীন চাঁদপুর এলাকায় একটি ঘের লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন ভুক্তভোগী আবু সাইদ শেখ।তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করে আসছেন৷ এছাড়া স্থানীয় বাজারে তার একটি ফার্মেসিও রয়েছে৷ বিশেষ করে ঘের লিজ নেয়ার পর থেকেই স্থানীয় কয়েকটি চাঁদাবাজ বাহিনী তার পিছু নেয়।এর মধ্যে হানিফ বাহিনী,আব্দুল্লাহ বাহিনী, সাইফুল্লাহ বাহিনী, গিয়াস মেম্বার বাহিনী,মিজান বাহিনী তার কাছে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চাঁদা চেয়ে আস ছিলো দীর্ঘদিন ধরে৷ বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানান ভুক্তভোগী সাঈদ শেখ। কিন্ত প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা চাঁদাবাজ চক্রগুলো গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিসকেও অমান্য করতে থাকেন। চাঁদাবাজদের অপতৎপরতায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় সাঈদ শেখের ছেলে নাজমুল হাসান বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবু হানিফ ও আব্দুল্লাহ শেখ নামে ২ চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।এতে চাঁদাবাজ গ্রুপগুলো আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে৷ এরই জের ধরে ঈদুল আযহার পরদিন গত ৩০শে/ জুলাই রাতে বাজারের ফার্মেসী থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার পথে চাঁদপুর গ্রামের কোস্টা পচানো বিলের রাস্তায় পৌছালে আগে থেকেই সেখানে ওৎ পেতে থাকা চাঁদাবাজ নেতা আবু হানিফ, আব্দুল্লাহ শেখ, গিয়াস মেম্বার, সাইফুল্লাহ শেখ ও তাদের নেতৃত্বে থাকা অন্তত ১৮ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা,রড, ও লাঠি শোঠা, নিয়ে ভুক্তভোগী আবু সাইদ শেখ ও তার ছেলে নাজমুল হাসানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়৷ ঘন্টাব্যাপী সন্ত্রাসীরা পিতা ও পূত্রকে লাগাতার পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পিতা ও পূত্রকে মৃত ভেবে বিলের পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজরা৷পরবর্তীতে ভ্যানচালক টিপু লোকজন নিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী সাঈদ শেখ ও তার ছেলে নাজমুল হাসানকে উদ্ধার করে রামপালের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিন্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অবস্থা গুরুতর দেখে পিতা ও পূত্রকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগীরা অগ্রযাত্রাকে জানিয়েছেন এ ঘটনার পর থেকে হামলার নেতৃত্বদাতা গিয়াস মেম্বার, সাইফুল্লাহ শেখ, হানিফ সহ কয়েকজনের নাম মামলায় না দিতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন প্রভাবশালীরা৷ এতে তারা বেশ শঙ্কায় আছেন।এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত ও প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন তারা।