মাসুদ পারভেজ বিভাগীয় ব্যুরোচীফ
ফলমণ্ডিতে আমের রাজত্ব ফলমণ্ডির আড়ত থেকে আম কিনে ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছেন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার
চট্টগ্রাম: সারা বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ফলে সয়লাব থাকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত ফলমণ্ডি। বছর ঘুরে আড়াতে দেশীয় ফল আসতে শুরু করলেও আমের রাজত্ব সবচেয়ে বেশি।
চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসে এসব আম। যোগান বেশি থাকায় আমের দাম তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফলমণ্ডিতে ঢোকার মুখের ভ্যানের দীর্ঘ সারি। খুচরা বিক্রেতারা দরদাম করে আম নিয়ে যাচ্ছেন।
বাজারে অন্যান্য ফল থাকলেও মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের প্রথম পছন্দ রসালো আম।
জানা গেছে, এ আড়ত থেকেই সমগ্র চট্টগ্রাম এবং আশেপাশের জেলা এবং উপজেলাতে ফলের সরবরাহ হয়ে থাকে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আম বোঝাই ট্রাক আসে এ আড়তে। প্রতিদিন রাত বারোটার পর শুরু হয় ট্রাক খালাসের কার্যক্রম। এরপর ভোর থেকে শুরু হয় বিকিকিনি।
আড়তদাররা জানান, সব ধরনের মৌসুমী ফল পাওয়া যায় এই বাজারে। বিশেষ করে আমের মৌসুমে সব জাতের আম পাওয়া যায় এখানে। এছাড়ও লিচু, কলা, আনারসসহ নানা জাতের ফল সহজে মিলে এখানে। এখন ফলের মধু মাস জ্যৈষ্ঠ শুরু হয়েছে। মাসের শুরুতে আম সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদাও প্রচুর। বর্তমানে আমের মৌসুম চলমান হওয়ায় প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পর্যন্ত আম প্রবেশ করছে এই মার্কেটে।
মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজের মালিক নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, আমের মৌসুম চলছে। রাজশাহী, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম আসছে ফলমণ্ডিতে। চাহিদা থাকা আমের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ফজলি, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাতি, গোপালভোগ, ডাবল বি, হাড়িভাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতি।
মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া বলেন, ফলমণ্ডি থেকে ফল কিনে ভ্যান গাড়িতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করি। এখন আমের সিজন হওয়ায় আম বিক্রি করছি। আমের সরবরাহ ভালো থাকায় কেনা দাম কম, তাই কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভে বিক্রি করতে পারছি।
আড়তদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জানান, আমের সরবরাহ বেড়েছে আড়তে। দাম বেশ নাগালের মধ্যেই আছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আমের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশি ফল বাজারে প্রাধান্য পাচ্ছে, এটি বেশ ভালো দিক। কৃষকদেরও ভাবতে হবে একই ধরণের দেশি ফলের চাষ সবাই না করে। ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যাবে।