গোপালগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কতৃক মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ।
মোঃ মিন্টু শেখ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সদ্য ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমির হামজা ও তার ভাই সাকিব কাজী একই মহল্লার পাশের বাড়ির নোমান হোসেন তমাল এর স্ত্রী আইরিন সুলতানার উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও নানা রকম হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে । নোমান হোসেন তমাল এর স্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বক্তব্য প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইরিন সুলতানা আশা বলেন, আমির হামজা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রপ্ত সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর খেকেই ক্ষমতার দাপটে আমাদের উপর নির্যাতন করেই চলেছে, ওরা আমাদের এখান খেকে উৎখাত করার জন্য এই সকল কর্মকান্ড করেই চলেছে। তাদের বাসার ভাড়াটিয়ারা প্রায়ই আমাদের জায়গায় ময়লা ফেলে। আমরা হামজার বাবাকে ব্যপারটা জানালে সে বিষয়টা কর্নপাত না করে উল্টা আমাদের উপর গালাগাল করে। গত ১০/০৭/২০২৩ইং তারিখে হামজাদের ভাড়াটিয়া আবারো আমাদের প্রাচীরের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেললে আমার স্বামী তাদের কাছে বলতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে মারধর করে, আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তারা আমাকে বুকে, পেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। হামজার বাবা হানিফ কাজী হুকুম দেয় ওদের মেরে ফেল, যাতে আর কোনদিন নালিশ করতে না পারে। পরবর্তীতে আমরা বাঁচার তাগিদে ৯৯৯ এ ফোন করি।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় আইরিন সুলতানা আশা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।
আইরিন সুলতানা ও তার স্বামীর উপর হামলার ব্যপারে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হামজা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উপর যে সকল অভিযোগ এসেছে তা সত্য নয়।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এস, আই মোঃ সাইফুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত চলমান আছে । আরো তদন্ত হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।