গোপালগঞ্জে ইজিবাইক চালক কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দূর্বৃত্তরা।
গোলাম রব্বানী
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলার চর-মানিদাহ গ্রামের মিয়া বাড়ির মৃতঃ আকবর হোসেন শিকদারের ছেলে এনামুল সিকদার অনিক (২৮)কে কুপিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্তরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় গতকাল বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে রোমান মিয়া নামক মিয়াবাড়ির এক ইজিবাইক চালকের সাথে যে ভাড়া চুক্তি করে এসে তা না দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয় চর সোনাকুড় এলাকার পিরু সিকদারের মেয়ের সাথে। ইজিবাইক চালক রাগ হয়ে মহিলাটিকে বেয়াদব বলে টাকা না নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে সে আবার ঐ রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় পিরু সিকদারের ছেলে সাজ্জাদ সিকদার রোমান মিয়ার গাড়ির গতি রোধ করে তাকে মারধর করে। রোমান মিয়া কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। রোমান মিয়া কে মেরে সন্ত্রাসীরা খ্যান্ত হয় নাই। রাত আনুমানিক ১০ টার সময় মিয়াবাড়ী এলাকার আকবর শিকদারের ছেলে ইজিবাইক চালক অনিক শিকদার ইজিবাইক চালিয়ে যাবার সময় সাজ্জাদ সিকদারের চোখে পড়ে অনিক শিকদার কে ইজিবাইক চালিয়ে যেতে। সাজ্জাদ তার সাথে থাকা লোকজনকে বলেন ঐ যে মিয়াবাড়ির একজন ইজিবাইক চালিয়ে যায় ওকে ধর ও যেন পালিয়ে যেতে না পারে। সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে থাকা রাব্বি সিকদার, কাজল মিয়া সহ আরো ১০/১২ জন অনিক মিয়ার গাড়ির গতি রোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সাজ্জাদ তাকে রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে মটিতে ফেলে দেয়, তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা অনিককে বেধরক মারপিট করে। এতে অনিক সিকদারের মুখে কোপ,হাত ভাঙ্গা সহ সমস্ত শরীরে রডের বাড়িতে ক্ষত হয়। এক পর্যায়ে অনিক জ্ঞান হারালে সন্ত্রসীরা অনিকের ভাড়া করা ইজিবাইক , কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ও তার প্রবাসী ভাইয়ের দেওয়া আট আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। অনিককে পাশের এক মুদি দোকানদার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়, ওখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার অনিকের অবস্থা আশঙ্খাজনক দেখে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে হাসপাতালে ভর্তির থাকার নির্দেশ দেন।
এ ব্যপারে অনিককে হাসপাতালে নিয়ে আশা দোকান মালিক এ্যাডভোকেট আজাদ বলেন অনিক আমার দোকানের সামনে এসে আমাকে বাঁচান বলে পড়ে যায়। আমি অনিকের মুখের কোপ শরিরে অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এ ব্যপারে হামলার শিকার অনিক শিকদার বলেন, আমি ইজিবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় সিও আফিস ও শষান গেটের মাঝামাঝি আসলেই সাজ্জাদ সিকদার, বাব্বি সিকদার,কাজল মিয়া, মুকুল সিকদার সহ আরো ১০/১২ জন আমার গাড়ি থামিয়ে আমাকে গাড়ি থেকে টেনে-হেচরে নামায়। সাজ্জাদ আমাকে রামদা দিয়ে কোঁপ দেয় ওর সাথে থাকা লোকজন আমাকে যে যার মত মারতে থাকে। আমি ওদেরকে বলেছিলাম ভাই আমাকে মারছেন কেন, আমি কি অপরাধ করেছি। ওরা আমাকে মেরে আমার ভাড়ার ইজিবাইকটি, আমার পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা, মোবাইল সেট ও বিদেশে থাকা ভাইয়ের দেওয়া একটি স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়।আমি আমার উপর হামলা কারীদের আইনের আওতায় আনার আহবান জানাই।অনিকের উপর হামলা ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ব্যপারে তার বড় ভাই গোপালগঞ্জ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যপারটি গোপালগঞ্জ সদর থানা এস,আই মহাসীন তদন্ত করছে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনিকের সাথে যে ঘটনা হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হবে। আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।