মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ১০৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার ৬ নভেম্বর দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এই বাজেট কেসিসির ইতিহাসের সর্ববৃহৎ আকৃতির। বাজেট ঘোষণায় কেসিসি মেয়র বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের বাজেট শুধুমাত্র আয়-ব্যয়ের খতিয়ান নয়। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ভাবনা প্রতিফলিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন জন-প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী ইস্তেহারে আমরা যে প্রতিশ্রুতি নগরবাসীকে দিয়েছিলাম, এ বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবানের মধ্যদিয়ে তা বাস্তবে রূপ দেয়ার প্রচেষ্টা করছি। বর্তমান অর্থবছর তথা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটিও সেভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সাথে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের প্রকৃত অবস্থার উপর ভিত্তি করে উক্ত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও প্রণয়ন করা হয়েছে।তিনি বলেন, বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কর্মকান্ডের সকল চলমান প্রকল্পে বরাদ্দ কিছুটা কমিয়ে প্রকল্পগুলো চলমান রেখেছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা। বাজেটের রাজস্ব ব্যয় ১৯৬ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা হতে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩৬ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, নিজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা, সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের প্রত্যাশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বিগত অর্থ বছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৬১ কোটি ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা।সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়িয়েছে ৬৯৭ কোটি ৭৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা।লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৮১%। এই বাজেটে রাজস্ব তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৯২ কোটি ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ২৮২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নিজস্ব তহবিলে অর্জনের হার ১৪৭%। উন্নয়ন তহবিলে তথা সরকারি অনুদান ও দাতা সংস্থার বিশেষ প্রকল্পে বিগত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা পেয়েছি ৪১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে অর্জনের হার ৬২%। মূলত সরকারের নিকট থেকে আশানুরূপ অর্থ পাওয়া গেলেও দাতা সংস্থা থেকে অনুরূপ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে উন্নয়ন বাজেটে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।