মোঃ শামীম হোসেন - খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- খুলনার বটিয়াঘাটায় গণধর্ষণ মামলার মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের সদস্যরা। ১৯ নভেম্বর রবিবার (১৯ নভেম্বর) নোয়াখালীর চর জব্বার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব খুলনার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গনধর্ষণের মূলহোতা নাজমুল গোলদার (৩০) এবং সহযোগী রাসেল শেখ (২৮)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম দর্জি কাজ করে পরিবারের সাথে বসবাস করে আসছিল। এক বছর পূর্বে নাজমুল গোলদার নামে জনৈক ব্যক্তির সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে নাজমুল ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ অক্টোবর ভিকটিমকে কনসার্টে এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে নাজমুল গোলদার পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে কৌশলে বটিয়াঘাটা থানাধীন ভগবতীপুর গ্রামস্থ কেঁচুরাবাদ সুইচ গেটের পাশে তার নিজ ঘেরের পাশে ভদ্রা নদীর চরে নিয়ে যায় যেখানে পূর্ব থেকেই নাজমুল গোলদার তার অন্যান্য বন্ধুদেরকে ডেকে রাখে। এরপর নাজমুল ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন ধরনের অশ্লিল আচরণ করতে থাকে। তখন ভিকটিম নাজমুলকে এমন আচরণ করার কারণ জিজ্ঞেস করে এবং এমন আচরন না করার জন্য অনুরোধ করে। ভিকটিম তার এমন আচরন বুজতে পেরে সাহায্যের জন্য তার নিজ মোবাইল থেকে পরিচিত ব্যক্তিদের নিকট ফোন করার চেষ্টা করলে নাজমুল গোলদার তার ফোন ছিনিয়ে নেয়। আসামী নাজমুল ভিকটিমের কোন কথায় কর্ণপাত না করে ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রথমে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে গনধর্ষনের মূলহোতা নাজমুল গোলদার এর পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী রাসেল শেখ, মৃত্যুঞ্জয় সরকার, মোঃ রুবেল শেখ, জুয়েল সরদার এবং আশিক পালাক্রমে ভিকটিমকে জোরপূর্বক গনধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ভগবতীপুর গ্রামস্থ কাটাবুনিয়া খেয়াঘাটে গত ২৪ অক্টোবর রাতে নেমে যায়। ভিকটিম লোক-লজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে গনধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনা এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১৯ নভেম্বর গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বার এলাকা থেকে গনধর্ষণের মূলহোতা নাজমুল গোলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন গনধর্ষণের অন্যতম সহযোগী রাসেল শেখ ডুমুরিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক আসামিকে বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।