খুলনার দাকোপ উপজেলার রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা নেই কোন ব্যবস্থা
মোঃ শামীম হোসেন - খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ-
খুলনার দাকোপ উপজেলার রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা নেই কোন ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই অনেক জায়গায় এখনও সেই নরম কাঁদা মাটির হাঁটু গেঁড়ানো দৃশ্য দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায় এখনো অল্প বৃষ্টি হলেই বন্ধ হয়ে যায় সকল যানবাহন। এমন কি রাস্তায় চলা ফেরা করতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এমন দৃশ্য দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা, কামারখোলা ইউনিয়ন, সুতারখালী ইউনিয়ন ও দাকোপ ইউনিয়নের কিছু এলাকায় দেখা যায়। কামারখোলা ইউনিয়নের দাকোপ খেওয়া ঘাট পার হলেই একধারে সুতারখালী ইউনিয়নের শেষ কালাবগী সুন্দরবন এলাকার ঝুলন্তপাড়া নামক স্থান পর্যন্ত। পুরো কাঁচা কাঁদা মাটির তৈরি ওয়াবদা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে দু ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা। সুতারখালী ও কামারখোলা ইউনিয়নে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, মোটর সাইকেল, মোটর ভ্যান, ইজিবাইক, টমটমসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে এ কাঁচা কাঁদা রাস্তা দিয়ে। তাদের ভাষ্যনুযায়ী সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বিপাদে পড়তে হয় এলাকার জনগনের। সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তখন এলাকার জনগনের চলাচলের একমাত্র উপায় থাকে নদী পথে ট্রালারে বা জুতা হাতে নিয়ে কাদার মধ্যে দিয়ে পায়ে হেটে চলতে হয়। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় কেহ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে যে, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হবে। সেটাও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আবার যদি গুরুত্বপূর্ণ ডেলিভারি, জরুরী কোন রোগী থাকে অনেক সময় পথে তার মৃত্যু ঘটে যায়।
অনেক সময় কপালের জোরে বেঁচে যান চিকিৎসা নিলে। এ বিষয় স্থানীয় ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা বড় নিরব।
এলাকার এক সাবেক ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে কালাবগীর দূরাত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এবং কামারখোলা ইউনিয়নের দূরাত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। পুরো রাস্তা কাঁচা কাঁদা মাটির। বৃষ্টি হলেই কোন অসুস্থ ব্যক্তি বা কোন রোগীকে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হলে অনেকটা অসাধ্য হয়ে পড়ে। এক মাত্র উপায় থাকে ট্রলার যোগে নদী পথে নিয়ে যাওয়া। বেশির ভাগ জরুরী ডেলিভারি রোগীর দেখা যায় পথেই প্রসব হয় যায়। তাছাড়া মাঝে মাঝে অনেক সময় শোনা যায় দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে রোগীর মৃত্যুর খবর। তিনি আরো বলেন, এমপি মহাদয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা যদি রাস্তার বিষয় একটু খেয়াল করেন। তাহলে রাস্তা পাকা হয় দুর হতো কাঁদা মাটির খেলা। কিন্তু কেউ এ বিষয় নিয়ে কথা বলেও না দেখেও না। এখানেই কাঁদা মাটির গল্প শেষ নয়, দাকোপ ইউনিয়নের পোদ্দারগঞ্জ নতুন খেওয়া ঘাট হইতে দাকোপ পরিষদ যেতে রাস মন্দির পর্যন্ত অর্থাৎ দাকোপ পুরাতন লঞ্চঘাট পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এলাকার জনগনের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বন্ধ হয়ে যায় সকল যানবহন চলাচল। তখন কাঁদা মাটি ছিটকোতে হয় এলাকার সকলকে। এ বিষয় দাকোপ ইউনিয়নের সাহেবের আবাদ এলাকার গরীবের দরদী সাহসী মানুষ গৌতম সরকার (কাঁকন) সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলার জনগন শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
আওয়ামী লীগ সরকার নিরলস ভাবে একের পর এক উন্নয়ন করে স্বনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে অথচ আমাদের এই অবস্থা।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভালো মনের মানুষ। তারই ধারাবাহিকতা নিয়ে দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে চলেছেন। তেমনি কোন ভাবেই কমতি নেই, দাকোপ উপজেলার উন্নয়ন। দাকোপ ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান বিনায় কৃষ্ণ রায় সততার সাথে এগিয়ে।
তাই আমি জনগনের পক্ষে থেকে চেয়ারম্যান বাবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আসা করি আমাদের এ তিন কিলোমিটার কাঁচা কাদা মাটির রাস্তা দ্রুত কাঁদা মাটি দুর হবে। শুধু আমার না তিন ইউনিয়ন বাসীর জনগনের দাবি, কাঁচা কাঁদা মাটির রাস্তার অবসর গঠিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা হোক।