মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে খুলনার দাকোপ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা মুলক ব্রিফিং দেন দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত। দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা রাত পোয়ালেই শুরু। এই উৎসবকে ঘিরে খুলনার দাকোপের পাড়া মহল্লায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মন্ডপগুলোতে শুরু হয়েছে উৎসবের প্রস্তুতি। বাপের বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা দেবী দুর্গাকে সুন্দর রূপ দিতে দিন-রাত রং তুলির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি পুরোদমে এগিয়ে চলছে নানান ডিজাইনের গেইট ও আলোকসজ্জার কাজ। এবার দাকোপ উপজেলায় মোট ৮৪টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসিত বরণ সাহা। প্রতিটি প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত কারিগররা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও। দেবী দুর্গার সঙ্গে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী দেবীকেও।
পঞ্জিকা মতে রাত পোয়ালেই পূজা ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। আগামী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই মহা উৎসব। এবার দেবীর আগমন ও গমন হবে ঘোটকে অর্থাৎ (ঘোড়ায়)। যার কারণে পৃথিবী জুড়ে এবার অনেকটা অস্থির ও বিশৃঙ্খলা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন দাকোপে শারদীয় উৎসব পালনে যাতে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না হয় সকলে সুন্দর ভাবে শারদীয় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দত্ত জানিয়েছেন, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের দুর্গাপুজা উৎসব। এ বিষয়ে কয়েক দফায় পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যদের নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত সকল শারদীয় দুর্গাপুজা মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তায় থাকছে, পুলিশি মোটরসাইকেল টহল, সমন্বিত পুজামন্ডপ কমিটি, স্থানীয় সেচ্ছাসেবক, আনসার বাহিনী সহ থানা পুলিশের বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক টহল দিবেন।