মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ- খুলনার দাকোপে রং তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার মুখ দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার সময় ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনায় দাকোপে প্রতিমাশিল্পীরা। গত ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা প্রচারিত হয়েছে মর্ত্যলোকে। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেবীর ভক্তকুল।
ইতিমধ্যে বাঁশ-খড়ের কাঠামোতে মাটির আস্তরণে অবয়ব পেয়েছেন দেবী দুর্গা। এখন চলছে প্রতিমা রঙের কাজ। শিল্পী নিপুণ হাতে রংতুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা। সনাতন শাস্ত্রমতে, এ বছর মহামায়া দশভুজা দেবী দুর্গার আগমন ঘোটকে, গমন দোলায় চড়ে। পণ্ডিতেরা বলেছেন, দেবীর ঘোড়ায় চড়ে আগমন খুব একটা শুভ নয়। শাস্ত্রমতে মহাময়া দুর্গা দেবীর ঘোড়ায় চড়ে আগমন দুর্যোগ আসার সম্ভাবনা থাকে। কথা হয় হবিগঞ্জের প্রতিমাশিল্পী শ্রী সুকুমার ভাস্কর (৫৫) এর সঙ্গে। তিনি বানিশান্তা দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছর থেকে এই বছর কাজের চাপ একটু বেশি। এ বছর দাকোপে দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা সহ ১৫টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছি।
প্রতিমাশিল্পী শ্রী প্রবীর বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছি। এখন প্রতিমা রং ও সাজসজ্জার কাজ করছি। আশা করছি সব কাজ শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মণ্ডপে প্রতিমা বসানো হবে। তিনি আরও বলেন, একটি বড় মূর্তি তৈরি করতে সময় লাগে সাত থেকে ১০ দিন। অন্যদিকে এক একটি ছোট মূর্তি তৈরি করতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ দিন।
কথা হয় দাকোপ পুজা কমিটির সভাপতি অসিত বরণ সাহার সাথে তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবার পূজা উদযাপন করা হবে। এবার উপজেলায় ৮৪টিপূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা।