মোঃ শামীম হোসেন - খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ-
খুলনার দাকোপে তরমুজ মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চলছে খাল দখলের মহা-উৎসব। এলাকা ঘুরে জানা যায় দাকোপের এসকল নদীতে একসময় লঞ্চ, ট্রলার, নৌকা চলাচল করত। আজ কালের বিবর্তনে সেই সকল খাল রুপ, যৌবন সব হারিয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। উপজেলা জুড়ে খালের ভিতরের অংশ ভরাট করে কেউ করছে পুকুর,কেউ করছে দোকান, ঘোয়াল ঘর ও ক্ষেতসহ অনেক কিছু। একসময় দাকোপ উপজেলা জুড়ে ট্রলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো, ট্রলারের ঢেউ কারণে খালের পাড় ও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রলার যোগাযোগ।১,৫৮,৩০৯ জনসংখ্যার দাকোপ উপজেলার অর্থনীতি ধান চাষ এবং বিশেষত তরমুজ চাষের উপর নির্ভর করে। তরমুজের সময় দাকোপে কয়েকশ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এটা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। মোট আবাদী জমির পরিমাণ ৮,৬৫৭.০০ হেক্টর, পুরোটা জুড়ে বর্ষা মৌসুমে ধান আর শুকনো মৌসুমে তরমুজ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে, এই উপজেলার নব্বই ভাগ মানুষ। এই দুই ফসল উৎপাদনে পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র উপকূলবর্তী হওয়ায় ছয় মাস নদীর পানি নোনা থাকে,তাই খালগুলোতে কৃষক মিষ্টি পানি মজুত রাখে ও নদীর সাথে খালের মুখের গেট গুলো, মুখ বন্ধ রাখে ছয় মাস। জানুয়ারি মাস থেকে কৃষক তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। চলতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে শুকিয়ে গেছে উপজেলার বেশির ভাগ খাল। যার জন্য তরমুজ সাইজ বড় করতে পারেননি কৃষক। এর জন্য ক্ষতির শিকার হয়েছে শত শত প্রান্তিক চাষী। এবার চৈত্র বৈশাখ মাসে বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে খালের পানির ভরসায় ছিল চাষিরা। অবৈধ দখলের কারনে খাল গুলোর পানি ধরনের ক্ষমতা কমে গেছে অর্ধেক। প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে ভড়াট হয়ে যাচ্ছে খালের ভিতরের অংশ,খালের পাশে যাদের বাড়ি,তারাই জমির মাথা ও রেকর্ড সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেন। এই খাল গুলোই দাকোপ উপজেলা কৃষির প্রাণ। লাউডোব খাল, চড়ার নদী, চুনকুড়ি খালসহ উপজেলার অন্তর্গত সব খাল খনন, পলি অপসরণ ও অবৈধ দখল মুক্ত করে কৃষক সমাজের স্বার্থে প্রধান অর্থনীতির বাচাতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কমনা করছে কৃষক সমাজ।