1. holyjannattv@gmail.com : rajib :
  2. admin@amarsangbadpratidin.com : admin :
  3. writers@amarsangbadpratidin.com : Writers :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

খুলনায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১০৫ Time View

মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ– মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর দাপটে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো খুলনা সহরসহ উপজেলার সকল হাট- বাজারে বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদে মানুষ গৃহস্থালি কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাশের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হত বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র। দাকোপ উপজেলার পানখালি, তিলডাঙ্গা, কামারখোলা, সুতারখালি, দাকোপ, বানিশান্তা, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, বাজুয়াসহ কয়েকটি গ্রামে মাহালী পরিবার ঐতিহ্য ধরে রাখাসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ আর বেতের শিল্পকে আকড়ে ধরে রেখেছেন একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। সরেজমিনে দেখা যায়, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর দিন দিন বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজার গুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যালুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর। জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থাথী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। বাঁশ ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব পণ্য বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবন যাপন। এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলা গুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খাল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে। যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়ায় ভাগ্যের ব্যাপার। যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে। খুলনা শহরে ডুমুরিয়ার বেতকাশি গ্রামের বাঁশ-বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বাঁশ-বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছে। অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তিনি। দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু স্কুলের রাস্তার পাশে বসে বাশ দিয়ে ঝুড়ি, কোলা, খাড়ই বুনতে দেখা যায় নিহার রঞ্জন জোদ্দার (৬৩) কে। তিনি কৈলাশগঞ্জ পশ্চিম পাড়া বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশে থাকেন সেখানেই তার বাড়ি। ১০ বছর ধরে তিনি এই কাজ করে সংসার চালান। তিনি আরো বলেন সরকারি অনুদান দেওয়ার জন্য কয়েকবার দাকোপ উপজেলায় ডেকে ছিলো কিন্তু কোন অনুদান পাইনি। ঝুড়ি বুনে বিক্রয় করি ১০০-১২০-১৫০ টাকা। কথা হয় বাজুয়া দাসপাড়ার মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে তিনি বলেন বাপ- দাদার পেশা ছাড়তে পারছি না এক সময় আমাদের তৈরি পূণ্যর কদর ছিল এখন আর নাই। তাই এই পেশা থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছে সকলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Amarsangbadpratidin.com
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)