খাদিমে সরকারী খাস জমি দখল বিক্রি ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক'কে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মোঃ রুবেল আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেট মহানগরীর বিআইডিসি খাদিমে সরকারী খাস খতিয়ানের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল, স্টাম্পের মাধ্যমে অবৈধ বিক্রি, পাহাড় টিলা কেটে পরিবেশ নষ্টকারী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা করায় স্থানীয় সংবাদকর্মী জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর শাহপরান থানা শাখার সভাপতি
মোঃ মইন উদ্দিন(৩৯) কে হত্যার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় ভূমিখেকো, পাহাড় টিলা ধ্বংসকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
হুমকির পর শাহপরান(রহ:) থানার বিআইডিসি খাদিম
বহর আ/এ-০২ এর বাসিন্দা মৃত- আব্দুল মুতলিবের ছেলে মঈন উদ্দিন তার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার শাহপরান (রহঃ) থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন। ডায়রী নং ৪৪৫- তারিখ :০৯/০১/২০২৪ইং।
তিনি তার সাধারণ ডায়রীতে
১। মামুন চৌধুরী(৬৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, ২। আরাফাত হোসেন তারেক(৩৫), পিতাঃ মৃত- মকবুল আলী, ৩। রহিম বাদশা উরফে ডন বাদশা(৩০), পিতাঃ ইয়াস আলী, সর্ব সাং- বহর আ/এ, পোঃ খাদিম নগর-৩১০০, থানাঃ শাহপরনা(রহ:), জেলাঃ সিলেটগণকি বিবাদী করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন।
জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর শাহপরান শাখার সভাপতি বলেন বিবাদীরা উগ্র, পরধনলোভী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমি খোকো, খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা এবং আমি একই এলাকার বাসিন্দা হই। বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ উল্লেখিত বিবাদীগণ বে-আইনি ভাবে সরকারী খাস ভূমি টিলার মাটি বিক্রয় করিয়া আসিতেছে। উক্ত বিষয়টি আমি কিংবা গ্রামবাসী প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ আমাদের'কে বিভিন্ন ধরনের প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। গত ০৪/০১/২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১০:০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীরা বে-আইনি ভাবে খাস ভূমির টিলা কেটে পুকুর ভড়াট করতে দেখে আমি বিষয়টি সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবগত করিলে তাহারা বিবাদীগণকে মোবাইলে ফোন করিয়া এহেন বে-আইনি কাজ হইতে বিরত থাকতে বলেন। ঐদিন রাত আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকার সময় আমি বাসায় যাওয়ার পথে শাহপরান(রহ:), থানাধীন বহর আ/এ পুকুর পাড়ে আসা মাত্রই উল্লেখিত ১নং বিবাদী মামুন চৌধুর র নিদের্শে অন্যান্য বিবাদী আরাফাত হোসেন তারেক ও রহিম বাদশা উরফে ডন বাদশার নেতৃত্বে আরো ১০/১৫ জন লোক হাতে দা,বটি,কিরিস, লোহার রড ও রোল নিয়ে আমার পথ রোধ করিয়া খারাপ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি বিবাদীদেরকে এহেন কার্যকলাপের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যক্ত হয়। বিবাদীদের এহেন কার্যকলাপে আমি চিৎকার করিলে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে বিবাদীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এমনকি বিবাদীরা যাওয়ার সময় আমাকে হুমকি দেয় যে, উক্ত বিষয়াদি নিয়ে আমি বেশী বাড়াবাড়ী করিলে আমাকে রাস্তাঘাটে সুযোগ মতো পাইলে কুপিয়ে হত্যা করিবে মর্মে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
তাহার পর হইতে উল্লেখিত বিবাদীরা আমাকে রাস্তাঘাটে দেখতে পাইলে মারধর করার জন্য তাড়াইয়া আসে। তারই ধারাবাহিকতায় ৯ জানুয়ারী বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় মামুন চৌধুরী আমাকে মারার জন্য ডাকাডাকি করে বিবাদীদের এহেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবারবর্গ খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি তাই ডায়রীভূক্ত করেছি।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে মাদক ব্যবসার সংবাদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল তালাশে প্রকাশের পর সাধারণ ডায়রীতে উল্লেখিত ২নং বিবাদী শাহ্পরান বাজারের স্কুল মার্কেটের সামনে দলবল নিয়ে মঈন উদ্দিনের উপর হামলা করে। এব্যাপারে মঈন উদ্দিন শাহ্পরান (রহঃ) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুরমা গেইট পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মোস্তফাকে তিনি তদন্তে গিয়ে মঈন উদ্দিনকে ফাড়িতে তলব করেন, মঈন উদ্দিন ফাঁড়িতে গেলে তারেকের সাথে আপুষে মিলে মিশে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন তারেকের কাজে বাধা না দিতে। এই ঘটনায় পরিস্কার বুঝা যায় পুলিশ তারেকের অবৈধ কাজে সহযোগিতা করছে।