ক্লিনিক মালিকের ভুল অপারেশনে প্রাণগেল এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ফাতেমা খাতুনের,
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম -খুলনা //
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে অবস্থিত আলোচিত হালিমা ক্লিনিকে আবারও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ইতিপূর্বে একাধিক রোগী ভুল অপারেশনে মৃত্যুবরণ করেছে এই আলোচিত ক্লিনিকেটিতে।এবার ফাতেমা খাতুন নামে এগারো বছরের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন করেছে বলে জানা গেছে ও ঊর্ধ্বতনা কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে গোপন সূত্রে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ওই ছাত্রীর চাচা আলামিন মৌলঙ্গী জানান, গত ৩১ জুলাই সকালে উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের ভাই আলামিন মৌলঙ্গীর মেয়ে ফতেমা খাতুন পেটে ব্যথা নিয়ে হালিমা মেমোরিয়াল নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোঃকামাল হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে অ্যাপেন ডিসাইডিস হয়েছে বলে জানান এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় ফাতেমা খাতুনের অ্যাপেনডিসাইডিস অপারেশনের জন্য অস্ত্রোপচার করেন।অস্ত্রোপচারের সময় ভুলবশত মূত্রথলির নাড়ি কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এর ৪ দিন পর ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেন ফাতেমা খাতুনকে আবারও ওটিতে নিয়ে যায় এবং ঘন্টা দুয়েক পরে ওটি থেকে বের করে রোগীর স্বজনদের কাছে ফাতেমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ বলে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়। স্বজনরা তখন দিশেহারা হয়ে খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ফাতেমাকে ভর্তি করেন। কর্তৃপক্ষ ফাতেমার অবস্থা অবনতি দেখে আইসিউতে নিবিড় পর্যেবক্ষণে রাখে এবং একই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এদিকে স্কুলছাত্রী ফাতেমা খাতুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকে ছুটে আসলে ক্লিনিক মালিক কামাল হোসেনসহ স্টাফরা মেইন গেট বাদে প্রতিটা কক্ষ তালাবন্ধ করে সুকৌশলে নিহত শিশুর আত্মীয় স্বজনরা জানান ক্লিনিক এর সত্য অধিকারী মোঃ কামাল হোসেন এমবিবিএস সার্জারি অপারেশনের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অপারেশন করেন।সে রোগীদেরকে এই ভাবেই পরিচয় দিয়ে অপারেশন করান, সার্বক্ষণিক অপারেশন করানোর জন্য তা ক্লিনিকে এমবিবিএস কোন ডাক্তার নাই।