মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ-
কালি পূজা উৎযাপন উপলক্ষে খুলনার প্রতিটি কালি মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। খুলনা জেলার রুপসা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, ফুলতলা, পাইকগাছা, দিঘলিয়া ও দাকোপ উপজেলা ঘুরে দেখা যায় কালি মন্দির গুলোতে প্রতিমা তৈরিতে মৃতশিল্পীরা আপন মনে তৈরি করছে তাদের সাধনা দিয়ে কালির প্রতিচ্ছবি। খর-কুটা ও মাটি দিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দুর্গাপূজার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কালি পূজা। আগামী ১২ই নভেম্বর রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত হবে মহা-ধুমধামের মধ্যে দিয়ে এবারের কালি পূজা বলে জানান প্রতিটি কালি মন্দির কমিটি। দাকোপের বাজুয়া চড়ার বাঁধ সার্ব্বজনিন কালি মন্দিরে আপন গতিতে প্রতিমা তৈরি করতে দেখা যায় অরবিন্দু বৈদ্যকে। তিনি বলেন আমি ১০ বছর ধরে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছি। আমার বাড়ি বেড়ের খাল বিজন বৈদ্য আমার বাবা। দুর্গাপূজায় আমি এবার এলাকা সহ বাহিরের এলাকায় মোট ১২ টি দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করেছি। এবার কালি মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছি বেশ কয়েকটি মন্দিরে। কেমন টাকায় প্রতিমা তৈরি করছে বললে বলেন আমার কোন চাহিদা নাই আমি কাজ করি যে যা দেয় খুশি হয়ে আমি তাতেই খুশি। কথা হয় আর এক প্রতিমা তৈরির মৃতশিল্পী সুমন চক্রবর্তীর সাথে। তিনি বলেন সুরেন বাবুর কালি মন্দিরের কাছে আমার বাড়ি কার্তিক ঠাকুর আমার বাবা। আমি খেয়াঘাট মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছি। ৩ বছর ধরে আমি প্রতিমা তৈরি করি। আমি ডিগ্রি ২ বর্ষের ছাত্র লেখা পড়ার পাশাপাশি মৃতশিল্পের কাজ করি। এছাড়া কথা হয় বাজুয়া চড়ার বাঁধ কালি মন্দির কমিটির সভাপতি ও বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানস কুমার রায়ের সাথে তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে বলে আমরা এতো সুন্দর ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছি। কালি পূজা খুবই নিকটে তাই মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরি ও মন্দির সাজানোর কাজ। কয়েক দিন আগে আমাদের কালি মন্দিরের ছাঁদ ঢালাই করা হয়েছে। তাই এবার প্রতিমা তৈরিতে একটু পিছিয়ে পড়েছি। আর কালি পূজাকে কেন্দ্র করে এখানে প্রতি বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় আর চড়া নদীতে দীপাবলী উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর দুইদিন ব্যাপী যে পুরুষ ও মহিলা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা এবং বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তাতে আমাদের মন্দিরে ব্যাপক ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে।