মোঃ রাসেল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জেলার আলোচিত দেয়াড়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়া মন্দিরে এবছর ১০১টি প্রতিমা দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরণ করছে। ইতিমধ্যে মন্ডপটি সাতক্ষীরা জেলার সর্ব বৃহৎ ও আকর্ষণীয় পূজা মন্ডপ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।
তিন মাস যাবত ৬ জন প্রতিমা শিল্পীর নিপুন কারুকাজ ও রং-তুলির নরম পরশে ঘোষপাড়া মন্দিরের প্রতীমা গুলি দেখলে মনে হবে এখানে দেব-দেবীদের মিলন মেলা হচ্ছে। এছাড়া দেবী দুর্গাকে মোহনীয় সাজে সজ্জিত করাসহ প্রধান সড়কের একাধিক স্থানে রাজকীয় ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।
দেয়াড়া ঘোষপাড়ার রাধা গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী শংকার কুমার ঘোষ জানান, দেবীর আগমন উপলক্ষ্যে আমাদের মন্ডপে ১০১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সকল দুর্গতীর অবসান ঘটিয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে কৈশাল থেকে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটেছে। যার জন্যই তিনি দুর্গাতিনাশিনী। প্রতি বছর দেবীকে বরণ আর বেদনার মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় দেয়ার জন্য আমরা এই দিনের অপেক্ষায় থাকি। তবে জেলার সর্ব বৃহৎ ১০১ টি প্রতিমা তৈরীর বিষয়ে বলেন, দেবী দুর্গাকে বরণ করার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে। আর এই বিশাল আয়োজনের আর্থিক সহায়তা করছেন মন্দির কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ‘সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারী'র পরিচালক সমীরণ ঘোষ। কলারোয়া উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্র নাথ জানান, এবছর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে মোট ৪৮টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে পৌরসদরে ৮টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪০টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি । আরো বলেন, পঞ্জিকামতে, এবছর জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দূর্গা আগমন করেছেন ঘটকে আর গমন ঘটকে ।
আগামী মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দশমীতে প্রতীমা বিষজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবছরের দুর্গোৎসব। তবে উপজেলার দেয়াড়া ঘোষপাড়া মন্ডপে ১০১টি প্রতীমা তৈরী করে দেবীকে বরণ করার বিষয়টি জেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত শ্রেষ্ঠ দুর্গোউৎসব বলে দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় জানান, শারদীয় দূর্গা উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপ্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর থাকবে পুলিশ। এছাড়াও মন্ডপে থাকছে আনসার সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদল।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় শারদীয় দূর্গাপূজা আনান্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিয়মিত মনিটরিং করা এবং মন্ডপ গুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দূর্গা পূজা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্নের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।