ওসি_মো: শাহিন” রূপসা উপজেলাবাসীর অন্তরে অল্প সময়ের মধ্যেই জায়গা পেয়েছেন:
মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম– খুলনা //
খুলনার রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:শাহিন একজন সফল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত লাভ করেছেন। একটি পুলিশ থানাকে কিভাবে আলোয় নিয়ে আসতে হয় তা দেখিয়েছেন তিনি। থানা যে কোন ভয়ংকর স্থান নয়, পুলিশ কোন আতংক নয় রূপসা থানার (ওসি) মো:শাহিন জনগণের কাছে উপস্থান করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন থানায় সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।থানা শুদ্ধতার স্থান, পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটাই প্রমান করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন থানার ওসি।আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সুব্যবহার ও আতিথেয়তায় কোন তাই ঘাটতি রাখছেন না।থানা কত নির্দয়ের স্থান হতে পারে মানুষের সেই ধারনা ভেঙ্গে দিয়েছেন তিনি আন্তরিক সেবায়। ভূল প্রমাণ করে আজ তার আমূল পরিবর্তন করেছেন। কর্মস্থলে যোগদান করেই উপজেলার মানুষের নিকট একজন জনবান্ধব পুলিশ অফিসার হিসাবে সর্ব মহলে প্রশংশিত হয়েছেন। গত ১৪/৫/২৩ তারিখে রূপসা থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকার ছিচকে চোর, মাদক ব্যবসায়ী, টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম অনেকটা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।ইতিমধ্যে থানায় চৌকস অফিসারদের নিয়ে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী টিম তৈরি করে তার আওতাধীন থানা এলাকার নজরদারি বৃদ্ধি করার কারণে সমগ্র এলাকা শান্তি বিরাজ করছে।যে কোন জায়গায় কোন ঘটনা ঘটলে তিনি নিজেই সেখানে পৌঁছে যান। রূপসা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে থানা পুলিশের টহল থাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটাই কমেছে বলে জানান এলাকাবাসী। উপজেলাবাসীকে পুলিশী সেবা পেতে সব ধরণের সুবিধা দিচ্ছেন তিনি। ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মক্ত করেন ওসি মো:শাহিন।দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে ঘুষ, দূর্নীতি মুক্ত, মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রনে দক্ষতা কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কমিটিকে সতেজ করেছেন।প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে সভা করেছে।মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করেছেন। প্রতিটি রাতে তিনি নিজেই গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার সকল স্থানে ঘুরে বেড়ান।এলাকাবাসী বলেন, বিগত দিন ও বর্তমান রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। থানা পুলিশের টহল বৃদ্ধি করায় অপরাধীদের আনাগোনা কমেছে।প্রতিদিন যদি নিয়মিত থানা পুলিশের তৎপরতা থাকে তাহলে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকান্ড করতে সুযোগ পাবে না।রূপসা থানার যোগদান করেই অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।যোগদান করে ২২ কেজি ৬২০ গ্রাম গাঁজা ও ২৪০ পিস ইয়াবা উদ্বার করেছে।এছাড়া একটি দেশীয় তৈরি পাইপ গান দুই রাউন্ড গুলি এবং একটি ওয়ান শাটার গানসহ ৩ রাউন্ড গুলি সহ মোট দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।২৩ টি মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে ২৯ জনকে ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী রয়েছে ১৪ জন।তার অভিযান থেকে বাদ যায়নি চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা। দীর্ঘদিন ধরে চোরায় মোটরসাইকেল চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে ৮টি মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার করেছে।ছোট-ছোট অভিযোগ সমূহ মামলা না করে সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে প্রসংশিত হয়েছেন উপজেলার সর্বমহলে।থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যুসহ সকল অপরাধ কমে এসেছে। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ তার কঠোর হস্তক্ষেপে সহনশীল পর্যায় রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসী তার প্রশংসা করছেন।রূপসা থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি মো:শাহিন বলেন- মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।পুলিশ বাহিনীতে যত দিন কর্মরত আছি, তত দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করে যাব। আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টি কোন দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেতে চাই।রূপসা থানায় যোগদান করেই প্রতিটি ওয়ার্ডে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছি আইন শৃঙ্খলা সঠিক রাখার জন্য।তিনি আরো বলেন, রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যে অনেক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। থানা পুলিশ এলাকাবাসীকে সেবা প্রদান করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের ধরতে বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশ অভিযান রয়েছে। জোরদার করা হয়েছে বিট পুলিশিং।অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী হউক অপরাধ করলে ছাড় নাই। মাননীয় ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।মাননীয় ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার খুলনা মহোদয় যখন যা বলবেন তখন তা করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি।ওসি মো:শাহিন আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য রূপসাবাসীর প্রতি আহবান থাকবে। পুলিশকে যদি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় তাহলে পুলিশ এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। তাহলে এ দেশ একদিন অপরাধ মুক্ত দেশে রুপান্তরিত হবে।