উজিরপুরে হাত বাড়ালেই মিলে মাদক!
মোঃসিফাত উল্লাহ, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
উজিরপুর উপজেলার গ্রামগঞ্জে এখন মাদকের ভয়াল থাবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ ও অভিভাবকরা। উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে তাদের মাদকের চালান নিরাপদে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন।
সেই কারনে মাদক সেবীরাও নির্ভয়ে নানা ধরনের মাদক সেবনে আক্রান্ত হচ্ছেন অহরহ। উপজেলার জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু হত্যাকান্ডের পরও থামানো যাচ্ছে না মাদকের ব্যবসা। উপজেলার সবর্ত্রই মাদক মিলছে হাত বাড়ানোর সাথেই। পুলিশের অভিযানে মাঝে মধ্যে মাদক সেবীরা গ্রেফতার হলেও রাঘব বোয়াল মাদক কারবারিরা থাকেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। উজিরপুর উপজেলার প্রায় ২০ টির মতো স্পট রয়েছে মাদকের যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ইয়াবা গাজা সহ নানা ধরনের মাদক বিক্রি হচ্ছে নিয়মিত। বিশেষ করে সাইজে ছোট হওয়ার কারনে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ীদের সহয পণ্য হিসাবে তা বহনে সুবিধা হওয়ায় ইয়াবার ব্যবসায় ঝুকছেন অনেক যুবক ও কিশোর গ্যাংরা ।
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের পূর্ব হারতা এবং হারতা বড় ব্রিজের ঢাল , শিকারপুর, বামরাইল, কালিহাতা, ধামুড়া,জল্লা, গুঠিয়া, নারায়নপুর, ওটরা, মাদকের হটস্পট হিসাবে পরিচিত বেশকিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ওই স্পটগুলো নিয়ন্ত্রন করছেন। এমনকি মোটরবাইকে সাংবাদিক স্টীকার লাগিয়ে তারা মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থানে মাদক পৌছে দিচ্ছেন। উজিরপুরে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। ওই চক্রটি পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে থাকার কারনে উজিরপুর উপজেলা জুড়ে মাদকের বিস্তার ঘটছে। প্রায়ই ডিবি পুলিশ র্যাব সহ বিভিন্ন সংস্থ্যা অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করে চেলাপুটি মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও মাদকের ব্যাবসা থামানো যাচ্ছে না । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, মাদকের কারনে উজিরপুরের যুব সমাজ এখন বিপদগ্রস্থ, বাড়ছে নানা ধরনের অপরাধ। থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা প্রয়োজন। উজিরপুর মডেল থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন তিনি মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ স্বোচ্ছার। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্নে কোন ছাড় নেই।