বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভারতের মণিপুর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পরে সেখানে রাষ্ট্রপতি তথা কেন্দ্রের শাসন জারি করা হয়। এরপর রাজ্যটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকিসহ অন্যান্য জাতির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল ও সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লার বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা বৃহস্পতিবার হয়। শেষ দিন সশস্ত্র মেইতেই গোষ্ঠী ‘আরামবাই টেঙ্গোল’ অস্ত্র জমা দেয়।এরইমধ্যে মন্দির লক্ষ্য করে পাহাড় থেকে গুলি চালিয়েছে কুকি জঙ্গিরা। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সুরক্ষায় মেইতেইদের পবিত্র স্থানে গিয়েছিলেন একদল ভক্ত। তখন নিকটবর্তী পাহাড় থেকে তাদের লক্ষ্য করে মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এরপর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।গুলির ঘটনার পর আশপাশের গ্রাম থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানান। বেশ কিছুক্ষণ তারা সড়ক অবরোধ করেন। শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ে থাকা বাঙ্কারগুলো ভেঙে দেয়ার দাবি জানান তারা।এদিকে, মণিপুরে লুট করা ও অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। উল্লেখ্য, মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলে ধারাবাহিক সংঘাত। রাজ্যের আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের অস্ত্রাগার লুট করে প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র নিয়ে যায় বিদ্রোহীরা। তখন থেকে উগ্রপন্থীদের হামলার শিকার হন অনেকে। হামলায় এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছ।