মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ– সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাস মেলার আর মাত্র এক দিন বাকি। আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী এ মেলার শুরু হবে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঐ পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত বছরের মতো এবারও বনবিভাগসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। অসাধু দর্শনার্থীরা যাতে বনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারেও নেওয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, পাপ মোচনের লক্ষ্যে প্রায় শত বছর ধরে সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোর কোলে রাস পূজা হয়ে আসছে। প্রতি বছর কার্তিক বা অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ারের লোনা পানিতে স্নানে পাপ মোচন হয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হবে এমন আশা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এ মেলায় যোগ দেয়। এছাড়া কেউ আসে সস্তান কামনায়, কেউ আসেন রোগ মুক্তির কামনায়। আগামী ২৭ নভেম্বর পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানিতে স্নানের মধ্য দিয়ে এ পূজার সমাপ্তি হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ পূর্বের ৫টি রুট বহাল রেখেছেন। এবিষয়ে ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মোঃ মহসিন আলী জানান, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে পশুর নদীসহ নির্ধারিত রুটগুলোতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি র্যাব, কোষ্টগার্ড, পুলিশ, বনকর্মীরা ও নৌবাহিনীর সার্বক্ষনিক টহল শুরু হবে। এব্যাপারে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানাদেব বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিমের টহল জোরদার থাকবে। তবে গত বছরের মত এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ছাড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন লোক পূজায় যেতে পারবে না। তবে মাঝি হিসাবে যেতে পারবে। তাছাড়া আসল জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে এবং এক কপি ফটোকপি মিলিয়ে প্রত্যেকে পাশ দেওয়া হবে। এ জন্যে আমাদের পোষ্টার, লিপলেট ছাপানোর কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও যাতে অসাধু দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করে কেউ যাতে হরিণ শিকার করতে না পারে সে ব্যাপারেও নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।