আখাউড়ায় মশিউর রহমান শান্তকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মা ও মেয়ে! বিবাদী পুনরায় আপিল
লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ (স্টাফ রিপোর্টার) আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় মশিউর রহমান শান্তকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মা ও মেয়ে! তিন মাসের সাজা,ব্যাংক চেকে থাকা লেখা ১০ লক্ষ টাকা বাদীকে ফেরত দেওয়ার রায় ঘোষনা করেন আদালত। বিবাদী ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে পুনরায় আপিল করেন।
বাদী মশিউর রহমান শান্ত হলেন পৌর শহরের মসজিদ পাড়া আব্দুল করিমের ছেলে।
এ ব্যাপারে মশিউর রহমান শান্ত বলেন- খরমপুর জিয়া পাড়ার এলাকার মা ও মেয়ে গত ১৮-০৩-২০২১ ইং তারিখে একটি জায়গা কিনবে বলে আমার কাছ থেকে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার 0711120069381, চেক নং abi. msd. c.5406325, ব্যাংক ডিজঅনার করে, চেকের মাধ্যমে মা ও মেয়ে, দশ লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। আমার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে, মা ও মেয়ে, তাদের কিছু ক্ষমতাশালি ব্যক্তিদের যুগ সাজেশন ও ইন্দোনে, দেম দিচ্ছি বলে আমাকে অনেক দিন ঘুরিয়ে টাকা না দেওয়ার পায়তারা শুরু করে ও টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে। এবং আমাকে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে, আমি নিজে বাদীহয়ে গত ২৪-০৫- ২০২২ ইং তারিখে, মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করি। আসামী মা ও মেয়ের মামলা নং ৮৫০/২২ / ৮৫১/২২, ওই মামলার আক্রোশে মা ও মেয়ে আমার নামে মিথ্যা হয়রানিমুলক, আখাউড়া থানায় একটি অভিযোগ করলে। পুলিশ আমায় আটককরে আদালতে প্রেরণ করলে পরে জানতেপারি, আমার বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মিথ্যা এবং ফরেনসিক রিপোর্ট তাদের পক্ষে তাহারা আদালতে দেখাতে পারেনি। এবং মা ও মেয়ে আমার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি বলে বারবার আদালতে অস্বীকার করে। পরে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আদালতে সত্যতা প্রমাণ হওয়ায়। গত বৃহস্পতিবার ১৩ ই জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ন দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে আমার টাকা ফেরত দিতে মা ও মেয়েকে নির্দেশ প্রদান করেন ও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মশিউর রহমান শান্তর বড় ভাই মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই শান্ত নির্দোষ আমার ভাইকে ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে, বড় ভাই মোঃ হুমায়ুন কবির আরো জানান, বেশ কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই এর কাছ থেকে মা ও মেয়ে আমার ভায়ের বাসায় এসে বাড়ির জায়গা কিনার কথা বলে, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে এদের দুইটি ব্যাংক চেক দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন, যাহার চেক নং ৫৪০৬৩২৫ / ২৪৭৫৮৪১, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। মা ও মেয়ের কাছে আমার ছোট ভাই শান্ত ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার ফলে বিভিন্ন কৌশলে নানা ধরনের মধুর কথা বলে অনেক দিন পার করেছেন, তখন আমার ছোট ভাই শান্ত নিরুপায় হয়ে ৪/৪/২০২২ এবং ২৪/৫/২০২২ ইং এই দুই তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে এদের দেওয়া দুইটি ব্যাংক চেক দিয়ে মামলা করেন, মামলার নং CR- ২১৫/২২, CR -২১৬/২২, ওই ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করে আমার ভায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে । ১৩ ই জুলাই রোজ বৃহস্পতিবার অনেক দিন পর নিরপক্ষ ভাবে সুস্থ তদন্ত করে আদালত, মা ও মেয়েকে তিন মাসের সাজা এবং ব্যাংক চেকে থাকা লেখা ১০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এ বিষয়ে শান্তর স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, মেয়ে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল, মেয়ে আমার বাসায় আসলে এ মেয়ের সাথে আমার স্বামীর পরিচয় হই। সরল মনে মা ও মেয়ে কে দুই বারে এদের দুইটি ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা জায়গা কেনার কথা বলে নেন। এ ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো আমার স্বামীকে এ মেয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের যোগসূত্রে ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করে। ১৩ ই জুলাই রেজ বৃহস্পতিবার মামলার রায়, মা ও মেয়েকে তিন মাসের জেল এবং ব্যাংক চেকে থাকা লেখা ১০ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মা ও মেয়ে বলেন পুনরায় আপিল করেছি মামলা চলমান।