অভিনব কায়দায় দুল্লার বটতলা বাজারে মাধক ব্যবসা জমজমাট।।
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহ জেলায় মুক্তাগাছার দুল্লায় মাধকসেবীদের মাঝে ঈদ উৎসব জমজমাট। সুলভমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে, দেশীয় হাতে তৈরির মদ, গাজা ও হিরোইন। নতুন সেবীদের জন্য আকর্ষণীয় অফার সহ বিশেষ ছাড় রয়েছে। মাধক ব্যবসায়ীরা সাচ্চা নিতীবান, নিয়মিত গডফাদার এর মান্থলি তারা পরিশোধ করে আসছেন। বকেয়া করে কখনোই তারা নিতী ভ্রষ্ট হয়ে কাজ, করে না কখনো। ভালো নিয়মিত মাধকসেবীদের কে, এক নাম্বারের সেবা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে, একহাজার টাকা পর্যন্ত বাকী বিক্রির অফার দিয়েছেন উক্ত এলাকার মাধক ব্যবসায়ীরা। তাদের রয়েছে বিশাল জোট, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে, অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হয়ে যায়। এক থেকে দুইশো লোক। অনেকের কাছে যুদ্ধা অস্ত্র হিসাবে খোরও থাকে। মাঝে মধ্যেই মনে হয়, এদের চাইতে বড়জোট আর হতে পারে না। বাপ মা ভাই বোন এদের প্রধান সত্রু, কারণ বাবা মা নিয়মিত এদের মাধক সেবনের টাকাতো দেয়ইনা, পক্ষান্তরে নেশা ছেরে দিয়ে মানুষ হতে বলে। আর তাই মাধকসেবীরা পরিবারের প্রধান সমস্যা হয়ে পরে। প্রথমে নিজ ঘর থেকেই চুরি শুরু করে এই মাধকসেবীরা। আস্তে আস্তে পরিবার থেকে সমাজে অপরাধের ক্যানছার হিসাবে ছড়িয়ে পরে। যারা মনে করছেন, পরশীর ছেলে নষ্ট হয়েছে, আমার কি। তাদের বলছি তৈরী থাকুন, আস্তে আস্তে এই ক্যানছার একদিন আপনাকেও গ্রাস করবে। সেই দিন আর করার কিছুই থাকবে না। বড়পুর বাজারে শত শত মানুষের চোখের সামনে, অবাধে চলছে মাধক ব্যবসা, সবাই দেখেও না দেখার বান করে চলে যাচ্ছেন। ধিক্কার জানাই মানুষের বিবেক কে। হরিরামপুরের মজিবর মাধক বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরা পরেছিলো, এর পর কিছুদিন কম থাকলেও, আবার নতুন করে শুরু করেছে, জমজমাট ব্যবসা। গয়েশপুর, চাঁনপুর, রামাকানা, হরিরামপুর এই সমাজের মানুষ সজাগ হও, আর কতো চুপ করে থাকবে তোমরা। বিল্লাল ওরফে নইবালী ও নুনু গ্রামঃ রামাকানা, শুকুর গ্রামঃ চানপুর, মজিবর, গ্রামঃ হরিরামপুর, সজীব, আকাশ, গ্রামঃ গয়েশপুর। এদের হাত থেকে ছেলে পুলে দের কে রক্ষা করো। একজন মাদক সেবনকারী, পরিবারের, সমাজের এবং দেশের সমস্যা। যুবসমাজ কে রক্ষা করা প্রত্যেকটা নাগরিকের কর্তব্য। প্রশাসনকে সঠিক তথ্য প্রদানকরে মাধকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে, দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন তা বিনষ্ট করতে পারবে না। আমাদের ঐক্য হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে। জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্দু। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।