মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ১৮ আগষ্ট শুক্রবার উপজেলার সরখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মেয়েটির মা উপজেলার সরখোলা গ্রামের ফরিদ হোসেনের স্ত্রী ঝুমুর বেগম (৩৭) বাদি হয়ে উপজেলার সরখোলা গ্রামের মৃত ছাত্তার মোল্লার ছেলে মোঃ আমিনুর মোল্লা(৫০)কে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ১০। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদি ও তার স্বামী দরিদ্র পরিবার হওয়ায় ছেলে মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজের জন্য ঢাকায় থাকে এবং ঢাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই সুযোগে ঘটনার দিনে আসামি আমিনুর ঘরের বেড়া কেটে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ফলে ভিকটিম চিৎকার দিলে পাশের ঘরে থাকা ছেলে জেগে যায় এবং সেও চিৎকার দেয়। ফলে আসামি আমিনুর ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সরেজমিনে জানা গেছে, বাদি এলাকায় বেশ ঋনগ্রস্থ হওয়ায় সন্তানদের বাড়ি রেখে ঢাকায় কাজ করে। এবিষয়ে ভিকটিম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমিনুর আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমার ঘুম ভেঙে যায় এবং আমার পরিহিত পায়জামা খোলা দেখে আমি চিৎকার করি, পাশের ঘরে থাকা আমার ভাই ঘুম থেকে উঠলে আমিনুর ঘর থেকে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর বিষয়টি আমার মা বাবাকে জানাই। এবিষয়ে বাদি ঝুমুর বেগম বলেন, আমি ঘটনা জানার সাথে সাথে ঢাকা থেকে বাড়ি চলে আসি এবং আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার পেতে রাজনৈতিক ও সকল মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি আরো জানান, আমরা গরীব মানুষ তাই মেয়েকে রেখে ঢাকায় কাজে যাওয়া কি আমার অপরাধ? আমার মেয়ের সাথে কেন লম্পট আমিনুর এমন করলো? আমি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব মামলা নেয়নি এবং দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে গত ২৭ আগষ্ট আদালতে মামলা করেছি। মামলা করার পর আসামি বিভিন্ন লোক দিয়ে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে, আমি ন্যায় বিচার চাই। এবিষয়ে আমিনুর রহমান মোল্লা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন জঘন্য অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি এমন কিছুই করিনি, আমি নামাজ কালাম পড়ি, আপনারা তদন্ত করে দেখেন জীবনে এমন অপরাধ কখনো করিনি বা এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
বিজ্ঞ আদালত বাদির মামলাটি গ্রহন করে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।