মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দারঃ
‘এখন আমরা একটা পক্ষে আছি, সরকারপক্ষ আরেকটা পক্ষে আছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। দেশে আইনের শাসন চাই। আমরা অপর পক্ষে (সরকার) গেলেও আপনাদের প্রতি ভালোবাসা সমভাবে থাকবে।’
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। এদিন শিমুল বিশ্বাসসহ সাতজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, এ আসামিরা আগে এক মামলায় রিমান্ডে ছিল। তারা সুস্থ অবস্থায় রিমান্ডে গেল। আজ কী অবস্থা! হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না। বলা হয়, বিএনপি আন্দোলন করেছে। এখন তো বিএনপি নেই। তারপরও ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। এখনো কি বিএনপির ওপর দায় চাপাবেন। আমরা তাদের রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি। প্রয়োজনে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
এর পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘শিমুল বিশ্বাস কিছু বলতে চান।’ পরে আদালত তার বক্তব্য শোনেন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, আমি এক মাস ঢাকার বাইরে ছিলাম। ১৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকায় ফিরি। পাবনাতে একটা সেমিনারে স্পিকার হিসেবে ছিলাম। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। দেশ আমাদের। আইনের শাসনে আমরা সবাই ওয়াদাবদ্ধ।
রিমান্ডের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, রিমান্ডের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিরেকশন আছে। আপনার (বিচারক) দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন আমরা একটা পক্ষে আছি, সরকারপক্ষ আরেকটা পক্ষে আছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। দেশে আইনের শাসন চাই। আমরা অপর পক্ষে (সরকার) গেলে আপনাদের প্রতি ভালোবাসা সমভাবে থাকবে।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড যাওয়া অপর আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, রশীদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।